মাথায় চালের বস্তা নিয়ে ক্ষুধার্তের দ্বারে র্যাব কমান্ডার

মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায়, দুস্থ, দিনমজুরদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।
খাদ্যসামগ্রীর বস্তা নিজে বহন করার বিষয়ে আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, অফিসাররা বস্তা মাথায় নিলে জাত চলে যাবে, বস্তা বহন করা শুধু নিচের র্যাংকের লোকদের কাজ- এটা অমানবিক ও মধ্যযুগীয় চিন্তাধারা।
আনোয়ার শামীম আরও বলেন, আমি যদি আমার অধীনস্থ র্যাব সদস্যদেরকে বোঝা বহন করবার আদেশ দিয়ে নিজে খালি হাতে হাঁটতাম, তাহলে তারা হয়তো আমাকে স্বার্থপর একজন নেতা হিসেবেই চিহ্নিত করতো, যা তাদের কর্মস্পৃহা ও মনোবলকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতো নিশ্চিত। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে অধস্তনদের সমান ভার নেওয়া, চাল-ডালের বস্তা মাথায়/হাতে নিয়ে সবার সামনে সামনে চলাই আমার নেতৃত্ব দানের স্টাইল। কাঁধের র্যাংক দেখে নয়, কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ হোক এখানে কমান্ডার কোন জন।
এর আগেও র্যাবের এই কর্মকর্তা রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুলাউড়া, মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায়দের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ করোনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল পৌর এলাকার চৌমোহনায় নিরাপদ কর্নার শিরোনামে পথচারীদের জন্য বিনামূল্যে ২৪ ঘণ্টা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন এএসপি আনোয়ার।
এর আগে শাবি ভর্তি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে নিজের গাড়িতে করে কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন তিনি। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে মানুষের ভালবাসা কুড়িয়েছেন তিনি।
শ্রীমঙ্গল র্যাব কমান্ডার আনোয়ার হোসেন শামীম ৩৪তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। ২০১৮ সালের মার্চ মাস থেকে তিনি র্যাব-৯ এ কমর্রত রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার উত্তর বড়বিল গ্রামে।