মিন্নির রিমান্ড বাতিলের আবেদন আমলে নেয়নি উচ্চ আদালত

মিন্নির রিমান্ড বাতিলের আবেদন আমলে নেয়নি উচ্চ আদালত
বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে হত্যা করার মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির রিমান্ড বাতিলের আবেদন আমলে নেয়নি হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত বলেছে, এই মামলায় এ মুহূর্তে আমরা হস্তক্ষেপ করতে চাই না। নিম্ন আদালতেই আবেদনের সুযোগ রয়েছে। আপনারা সেখানে যান। আদালত পরিবর্তনের আবেদনও করতে পারেন। এমনকি ফৌজদারি বিধিতে হাইকোর্টের ট্রায়াল করার আবেদনের সুযোগও রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন। আদালত বলেছে, এখন মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্তাধীন বিষয়ে আমরা এই মুহূর্তে কোনও হস্তক্ষেপ করবো না। বৃহস্পতিবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘মিন্নির রিমান্ড, পাশে কেউ নেই’ শিরোনামের সংবাদটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারুক হোসেন। আদালতে আইনজীবী বলেন, এ মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। মামলার পলাতক এজাহারভুক্ত আসামিদের এখনও গ্রেফতারে প্রশাসন বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এই মুহূর্তে প্রধান সাক্ষী মিন্নি স্বামী শোকে বিপর্যস্ত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে টর্চারিং করে পরে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর আবার রিমান্ডে নেয়া হয়। এটা অমানবিক। আইনজীবী আরও বলেন, এ ঘটনার মূল হোতাদের আড়াল করতে মামলার প্রধান সাক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ সাক্ষী মিন্নিতো সব সময় মামলার পাশে থাকবেন, তাকে পরেও গ্রেফতার করা যেত। আমরা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির রিমান্ড বাতিল ও মামলা সঠিক পথে পরিচালনার নির্দেশনা চাই। এ সময় আদালত বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। এ মুহূর্তে আমরা হস্তক্ষেপ করবো না। তবে আপনারা চাইলে মামলাটি বিচারের জন্য এবং রিমান্ড বাতিলের জন্য লিখিতখভাবে আবেদন করতে পারেন। আইনজীবী ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি প্রধান সাক্ষী। অথচ আসামিদের গ্রেফতার না করে মিন্নিকে গ্রেফতার এবং রিমান্ডে নেয়া মামলার ন্যায় বিচারকে বাধাগ্রস্ত করবে। গত ২৬ জুন (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ একদল যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রিফাতের স্ত্রী আয়শা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাদের থামানো যায়নি। খুনিরা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। এ হত্যার ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ পরের দিন বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুণা সদর থানায় মামলা করে