মূল্যস্ফীতি কমলেও স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যের দামে

মূল্যস্ফীতি কমলেও স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যের দামে

সদ্য সমাপ্ত ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশে ঠেকেছে। যেটি নভেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সোমবার (২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিবিএসের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ডিসেম্বরে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯১ শতাংশে, যেটি নভেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। তবে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যে কোনোভাবেই স্বস্তি আসছে না। ডিসেম্বরে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি প্রায় আগের মাসের মতোই।

ডিসেম্বরে খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। যেটি নভেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতিতে শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষের অস্বস্তি বেশি। গ্রামে গড় মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১১ শতাংশ। খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ। যেটি আগের মাসের চেয়ে সামান্য কিছু কমেছে, নভেম্বরে গ্রামে খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ।

এছাড়া শহরে গড় মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ, নভেম্বরে তা ছিল ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, আগের মাসে তা ছিল ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। যেটি আগের মাসের চেয়ে সামান্য কিছু কমেছে, নভেম্বরে গ্রামে খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

তাছাড়া বিবিএসের হিসেবে, ডিসেম্বরে দেশের শ্রমিকদের গড় মজুরিও বেড়েছে। এ মাসে গড় মজুরি বেড়ে ৭ দশমিক শূণ্য ৩ শতাংশ, নভেম্বরে ছিল ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এর মধ্যে কৃষি শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, আগের মাসে তা ছিল ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।

শিল্প শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ, আগের মাসে তা ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। সেবা খাতের মজুরি বেড়ে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, নভেম্বরে তা ছিল ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ।