রাজধানীর পল্লবী থানার বিস্ফোরণে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই:গোয়েন্দা পুলিশ

রাজধানীর পল্লবী থানার বিস্ফোরণে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই:গোয়েন্দা পুলিশ

রাজধানীর পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই বলে আবারো দাবি করেছে ডিবি। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এই সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন এমনটা জানান। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরা স্থানীয় সন্ত্রাসী, এর সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই।

ডিবি কর্মকর্তা বলেন, দাবি কেউ করতেই পারে। তবে কে কী দাবি করল, এটা আমাদের কোনো বিষয় নয়। তবে এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। গ্রেপ্তার তিনজনই ‘স্থানীয় সন্ত্রাসী’। এর পেছনে এলাকার আধিপত্য বিস্তারের কোনো বিষয় রয়েছে বলে ধারণা।

পুলিশ বুধবার জানায়, মঙ্গলবার রাতে তিন সন্ত্রাসীকে আটক করার সময় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি ও একটি ডিজিটাল ওয়েট মেশিনসহ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। বুধবার ওই ওয়েট মেশিন বিস্ফোরিত হয়। এতে পাঁচজন আহত হন। 

পুলিশের দাবির সঙ্গে দ্বিমত করে আটকদের একজন শহিদুল ইসলামের পরিবার জানায় তাকে সোমবার একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। 

এ বিষয়ে দুদিন আগেই ধরে নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত হবে বলেও বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে জানান আব্দুল বাতেন। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিবি কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাউকে আগে আটক করার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তা তদন্ত করে দেখা হবে।

ওই ঘটনায় অস্ত্র আইনে এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। শহিদুল, রফিকুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

শহিদুলসহ গ্রেপ্তার তিনজনকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিন করে রিমান্ডে পাঠায় আদালত। বুধবার সকালের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাতে দায় স্বীকার করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস।  

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ‘মলম পার্টি-অজ্ঞান পার্টি‘র তৎপরতা রোধে পদক্ষেপ নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান ও মলম পার্টির ৫৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঈদ সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি বেশ তৎপর হয়ে উঠে। বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে আসা বেপারীরা তাদের শিকার হয়। তার চেতনানাশক বড়ি, তরল ‘মুভ’ স্প্রে, বিশেষ ধরনের মলম- হালুয়া, গুল ব্যবহার করে বেপারীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।