সাহেদকে নিয়ে দেবহাটা সীমান্তে র্যাব

আলেচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান, প্রতারক সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর সীমান্তে অভিযানে নিয়ে আসে র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তাবেষ্টনির মধ্যদিয়ে একটি সিলভার রঙের মাইক্রোবাসযোগে তাকে খুলনা র্যাব-৬ এর কার্যালয় থেকে থেকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হয়। পরে দেবহাটার লাবর্নবর্তী ব্রীজ এলাকায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। মাইক্রোবাস থেকে প্রতারক সাহেদ করিমকে সেখানে গাড়ি থেকে নামানো হয়। প্রায় আধাঘন্টা তাকে নিয়ে ওই এলাকায় ঘুরাঘুরি করে র্যাব সদস্যরা।
লাবন্যবতী খালের ওপর নির্মিত কোমরপুরের বেইলী ব্রীজের ওপর নিয়ে আসে র্যাব। এর পর উৎসুক সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্রীজ থেকে নির্দিষ্ট দুরত্বে সরিয়ে কিছু সময় মিনিট কথাবার্তা বলে আবারও সাহেদকে গাড়ীতে ওঠায়। এ সময় প্রতারক সাহেদের মুখমন্ডল ছিল হেলমেটে ঢাকা, গায়ে ছিল গেঞ্জি ও র্যাবের নিরাপত্তা জ্যাকেট। ব্রীজের ওপর থেকেই আবার গাড়িতে উঠিয়ে ফের খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় র্যাব । তদন্তের স্বার্থে র্যাব উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কোন ধরনের প্রশ্ন করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে বলেন।
গত ২০ জুলাই সাহেদ করিম দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুরস্থ লাবর্ণবর্তী খাল দিয়েই ভারতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে। লাবর্ণবতী ব্রীজের নীচ থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র্যাব। পরে তাকে র্যাব হেড কোয়াটারে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার দিন রাতেই প্রতারক সাহেদের নামে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে সাহেদ করিমকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা করে র্যাব। র্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় দায়েরকৃত মামলায় গত ২৬ জুলাই ভার্চুয়াল আদালতে সাহেদ করিমের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে র্যাব । সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার রায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করে।
র্যাবের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এনিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, দেবহাটা থানায় দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তে প্রতারক সাহেদকে নিয়ে আসা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তাকে আবারও খুলনা র্যাব-৬ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে রেখেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।