রানে ফিরলেন সাকিব

রানে ফিরলেন সাকিব

অল্পেই সাজঘরে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার, আরও একবার ব্যর্থ ভিন্ন কিছুর পরিকল্পনা; চাপের মুখে ব্যাটিংয়ে এলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যিনি আগের চার ম্যাচ মিলে করেছেন মাত্র ৪৬ রান। সেই তিনি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচকেই করলেন রানে ফেরার উপলক্ষ্য, খেললেন ৪১ রানের ইনিংস।

অধিনায়ক সাকিবকে সঙ্গ দিয়ে তাকে ছাড়িয়েও যান বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল শান্ত। তিনি করেন ৪৬ রান। এ দুই বাঁহাতি চলিশোর্ধ্ব রানের ইনিংসের পরও খুলনার বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি সাকিবের ফরচুন বরিশাল। অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই ১৪৫ রানে গুটিয়ে গেছে তারা।

সাকিবদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে মুশফিকুর রহিমের খুলনাকে করতে ১৪৬ রান। এ দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে আগে ব্যাট করে বরিশালের সংগ্রহ ছিল আরও কম, ১৪১ রান। সেই ম্যাচটি সাকিবরাই জিতেছিলেন, ১৭ রানের ব্যবধানে। তাই আজ অল্প পুঁজি হলেও খুলনাকে আবারও হারানোর বিশ্বাস নিয়েই বোলিংয়ে নামবে বরিশাল।

এ ম্যাচে বিপিএলের এবারের আসরে প্রথম দল হিসেবে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বরিশাল। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তারা পড়ে খুলনার বোলিং তোপে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের মধ্যেই সাজঘরের পথ ধরেন ডোয়াইন ব্রাভো (৯), ক্রিস গেইল (৪) ও তৌহিদ হৃদয় (৫)। নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ব্রাভো ও গেইলের উইকেট নেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন সাকিব ও শান্ত। এ দুজনের জুটিতে ৭৯ রান পায় বরিশাল। ইনিংসের ১৪তম ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ২ চার ও ৩ ছয়ের মারে মাত্র ২৭ বলে ৪১ রান করেন সাকিব। পঞ্চাশের কাছাকাছি গিয়েও তা করতে ব্যর্থ হন শান্তও। তিনি খেলেন ৪০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস।

সাকিব-শান্তর ৭৯ রানের জুটির পর ফের নামে ধস। হতাশ করেন নুরুল হাসান সোহান (১০), জিয়াউর রহমান (৮) ও ইরফান শুক্কুররা (৬)। শেষ দিকে একটি করে চার-ছয়ের মারে ১২ রান করেন মুজিব উর রহমান। যা দেড়শ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ এনে দেয় বরিশালকে।

খুলনার পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ। এছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি ও ফরহাদ রেজার শিকার দুইটি করে উইকেট।