রায়েন্দা-বড়মাছুয়া ফেরি চলাচল ঠিক রাখতে ড্রেজিং

রায়েন্দা-বড়মাছুয়া ফেরি চলাচল ঠিক রাখতে ড্রেজিং

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়ার মধ্যে সড়ক বিভাগের ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অবশেষে বলেশ্বর নদীর মধ্যে জেগে ওঠা ডুবোচর অপসারণে ড্রেজিং শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকাল থেকে সাঙ্গু নামের একটি কাটার সেকশন ড্রেজার দিয়ে ওই ডুবোচর কাটা শুরু হয়। ডুবোচর কাটা শেষ হলে শরণখোলার রায়েন্দা থেকে বড় মাছুয়ায় ফেরি পার হতে দেড় ঘণ্টার স্থলে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। 

বাগেরহাট সড়ক বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সড়ক বিভাগ গত বছরের ১০ নভেম্বর বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড় মাছুয়ার মধ্যে বলেশ্বর নদীতে ফেরি চলাচল শুরু হয়। পিরোজপুর-৩ আসনের এমপি ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী ও বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করেন। 

দীর্ঘ ৩ কিলোমিটার চওড়া নদীর মাঝে বিশাল আকারের ডুবোচর থাকায় ফেরি ঘুরে যেতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে। এতে একদিকে যেমন বাড়তি জ্বালানি তেল খরচ হয় তেমনি যাত্রীদের সময় নষ্ট হয়। এ অবস্থায় বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি আমিরুল আলম মিলনের প্রচেষ্টায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বলেশ্বর নদীর রায়েন্দা-বড় মাছুয়ার মধ্যে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ড্রেজিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন জানান, বলেশ্বর নদীর মধ্যে রায়েন্দা-বড় মাছুয়া পয়েন্টে ২৮০০ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২০ ফুট প্রস্থ বিশাল ডুবোচর রয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে এই বিশাল ডুবোচর ড্রেজিং করে অপসারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে জন্য শুক্রবার সকাল থেকে সাঙ্গু নামের একটি ড্রেজার দিয়ে ওই ডুবোচর কাটা শুরু হয়েছে। ২৮০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২০ ফুট প্রস্থ জেগে ওঠা চর কেটে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে প্রায় এক মাস সময় লাগতে পারে। নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ড্রেজিং করতে কিছু বেগ পেতে হচ্ছে।

সড়ক বিভাগের ফেরির সুপার ভাইজার মিন্টু অধিকারী জানান, বলেশ্বর নদীর ডুবোচর থাকায় এখন এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে ফেরি চলাচল করতে দেড় ঘণ্টার সময় লাগছে। ড্রেজিং শেষ হলে ফেরি পার হতে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট। এতে করে জ্বালানি ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে।