লাল ও হলুদ জোনে ৩০ জুন পর্যন্ত অফিস বন্ধ

লাল ও হলুদ জোনে ৩০ জুন পর্যন্ত অফিস বন্ধ

সরকার ঘোষিত লাল ও হলুদ জোনের সব ধরনের অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দাদের এবং এসব এলাকায় যারা কাজ করেন তাদেরও এ সময় ছুটি পালন করতে বলা হয়েছে।

তবে সবুজ জোন হিসেবে ঘোষিত এলাকার অফিসগুলো সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ সোমবার এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

জোনভিত্তিক অফিস খোলা রাখার এই আদেশ ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এলাকায় সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় এরই মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের মোট পাঁচটি জেলার বেশ কিছু এলাকাকে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি। 

এর মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় এখন পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন চলছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭টি এলাকা ও দক্ষিণের ২৮টি এলাকা লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ১১ এলাকাকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে লাল জোনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে সর্বশেষ ১৪ দিনে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে ৬০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার বিবেচনায় এলাকাগুলোকে লাল জোনে অন্তর্ভুক্ত করার মানদণ্ড ধরা হয়েছে। 

এতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭টি এলাকা ও দক্ষিণের ২৮টি এলাকা লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ১১ এলাকাকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে লাল জোনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বড় শহর দুটি বাদে দেশের অন্যান্য জায়গার জন্য সর্বশেষ ১৪ দিনে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে ১০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার বিবেচনায় কোনো এলাকাকে লাল জোনে অন্তর্ভুক্ত করার মানদণ্ড ধরা হয়েছে। সিভিল সার্জন, ডিসি এবং এসপি স্থানীয় পর্যায়ে লাল জোনের সীমানা নির্ধারণের কাজ করবেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৭ এলাকাকে লাল জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো: বসুন্ধরা, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রায়েরবাজার, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।

চট্টগ্রাম সিটির ১০ এলাকা রয়েছে লাল জোনের মধ্যে। সেগুলো হলো, চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।

ঢাকার বাইরের তিন জেলার মধ্যে গাজীপুরের সব কটি উপজেলাকে রেড জোনের আওতার মধ্যে আনা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সদর এবং পুরো সিটি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আর নরসিংদীর সদর মডেল থানা, মাধবদী ও পলাশ রয়েছে লাল জোনের মধ্যে।