শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ভাবছে সরকার- এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই বুধবার সন্ধ্যায় একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১৪ নভেম্বরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কি আদৌ সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সর্বসাধারণের মনে। শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনো নির্দেশনা বা বক্তব্য না আসায় তারা অনিশ্চয়তায় রয়েছে।
বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক ভার্চ্যুয়াল সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে, আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে, ভাবছি’। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা ছুটি বাড়ানো বিষয়ে বক্তব্য দেবেন ডা. দীপু মনি।
ভার্চ্যুয়াল সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ মাসের ১৪ তারিখ (১৪ নভেম্বর) পর্যন্ত (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) বন্ধ রেখেছি। ১৫ তারিখ থেকে খুলবে কি না, নাকি এই ছুটিটি আরও বাড়বে, নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য আমরা সীমিত আকারে শুরু করতে পারব- এ সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে এখনও কাজ করছি। ১৪ তারিখের আগে চেষ্টা করব আপনাদের (গণমাধ্যম) জানিয়ে দিতে। কারণ ১৪ তারিখের আগে তো আমাদের একটা সিদ্ধান্ত দিতেই হবে। কাল বা পরশুর মধ্যে আমাদের একটা সিদ্ধান্ত জানাতেই হবে’।
দীপু মনি বলেন, ‘সংকটের মধ্যেও আমরা পড়াশোনাকে চালিয়ে নিতে পেরেছি, চালিয়ে যাচ্ছি, অবশ্যই এটি আমাদের কোনো আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তার মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি। এই চেষ্টাটি চালিয়ে যেতে হবে, এটিকে আরও কত ভালো করা যায়, কারণ করোনা কতদিনে যাবে, কতদিনে সত্যিকার অর্থে আমরা আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি খুলে দিতে পারব, সে বিষয়গুলো কিন্তু এখনও বেশি অনিশ্চিত। সামনেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে, সেগুলো নিয়েও আমরা বিভিন্নভাবে ভাবছি, যে কী করে তাদের পরীক্ষার আগে তাদের সিলেবাস কী করে পুরোপুরি শেষ করতে পারে, এসব নানান জিনিস আমরা ভাবছি’।
এদিকে সীমিত পরিসরে স্কুল খুলে দেওয়া হতে পারে বলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষামন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি-সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে। মহামারীর কারণে এবার বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না।