শের-ই বাংলা মেডিকেলের আরটি-পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর মেশিনটি আবারও বিকল হয়ে গেছে। আরটি-পিসিআর ল্যাব চালু করতে ২ থেকে ৭ দিন সময় লাগতে পারে বলে আভাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ হয়নি। িেশন বন্ধ থাকায় সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়।
গত শুক্রবার রাত ৯টা থেকে পিসিআর মেশিনের ফিল্টার দুষিত হওয়ায় ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
আর বিদেশগামীদের নমূনা জরুরী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে ভোলার পিসিআর ল্যাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয়ভাবে মেশিন দুষনমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এতেও মেশিন দুষণমুক্ত না হলে মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় পিসিআর মেশিন দুষণমুক্ত করা হবে।
মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পিসিআর ল্যাব প্রধান ডা. একেএম আকবর কবীর জানান, গত শুক্রবার মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৩৮৯টি নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা ছিলো। এর মধ্যে শুক্রবার ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছিলো। যার মধ্যে ৩০টি নমুনা ছিলো বিদেশগমনেচ্ছুদের।
শুক্রবার পিসিআর ল্যাব দুষণমুক্ত করার পরও মেশিনের ফিল্টারে দুষষ থেকে যায়। এ কারণে ওইদিন রাত ৯টায় ল্যাবের প্রধান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে প্রেরিত এক চিঠিতে সাময়িক সময়ের জন্য পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানান। গতকাল শনিবার সকাল থেকে ফের মেশিনের যন্ত্রগুলো একে একে ভাইরাসমুক্ত (দুষণ) করার কাজ শুরু হয়। এর পরও মেশিনের ভাইরাস দূর না হলে মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের এনে মেশিন দুষনমুক্ত করতে হবে। এতে ২ থেকে ৭ দিন সময় লাগতে পারে।
বরিশাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এসএম সারওয়ার জানান, বরিশাল পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাধারণ সংগ্রহীত নমুনা পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়। আর বিদেশগমনেচ্ছুদের নমুনা জরুরী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে ভোলার পিসিআর ল্যাবে।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর বরিশাল মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর মেশিনে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে মেশিনটি ঢাকায় নিয়ে সার্ভিসিং করা হয়। একে প্রায় এক সপ্তাহ বরিশালে করোনার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ ছিলো।
গত বছর ৯ এপ্রিল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব চালু হয়। এ পর্যন্ত এই ল্যাবে ৫২ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।