সংশোধন হচ্ছে ইভিএম প্রকল্প

নির্বাচন কমিশনকে ইভিএম প্রকল্পের ব্যয় সংকোচন করতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশন। আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আরো কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলা হয়, প্রকল্পটি যেন নতুন করে প্রস্তুত করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিকল্পনা কমিশনের সচিব মো. মামুন আল রশিদ।
মামুন আল রশিদ জানান, আমাদের কাছে ইভিএম নিয়ে প্রকল্প প্রস্তাব এসেছে। আমাদের প্রোগ্রামিং কমিটিতে আমরা ইভিএম প্রকল্প রিভিউ করেছি। সেটি আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখেছি। সেখানে আমাদের কিছু অবজারভেশন আছে। অবজারভেশনের আলোকে আমরা কিছু সুপারিশ করেছি। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করলে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি সেটি অনুমোদন করবে।
একইদিন পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ইভিএমের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান জানান, পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে। ইভিএমের যে প্রকল্প প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম, সেটি নিয়ে আমাদের আন্তমন্ত্রণালয় একটি মিটিং ছিল সেটি হয়ে গেছে। তার অগ্রগতি আমরা পরিকল্পনা কমিশনে দিয়েছি। এখন ওনারা তার আলোকে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা কমিশন কিছু ব্যয় সংকোচনের কথা বলেছিল, আমাদের এ মুহূর্তে কতখানি প্রয়োজন বা ভবিষ্যতে কতখানি প্রয়োজন সেগুলোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তারা বলেছে কিছু জিনিস রাখতে, আর কিছু জিনিস না রাখতে। অমাদের যে সংশোধনগুলো করার কথা বলেছিল, তা আমরা করছি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট নিতে চায় নির্বাচন কমিশন। এ জন্য নতুন করে ২ লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প তৈরি করে ইসি। ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু এত টাকা ব্যয় দেখে বাদ সাধে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পটি এডিপির তালিকাভুক্ত হওয়ার আগেই পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবারের একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা সচিব জানান, নতুন করে প্রকল্প প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।
এর কিছুক্ষণ পরেই পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইভিএমের প্রকল্প পরিচালক।
সাক্ষাৎ শেষে তিনি জানান, চলমান প্রেক্ষাপটে ইভিএমের ব্যয় সংকোচন করতে বলা হয়েছে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে। প্রকল্পের বর্তমান যে গতি, তাতে সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম কতটুকু নিশ্চিত, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, সঠিক প্রক্রিয়াতেই এগোচ্ছে ইভিএম।
নির্বাচন কমিশনের কাছে বর্তমানে যে কয়টি ইভিএম আছে তা দিয়ে ৭০ থেকে ৮০টি আসনেই ভোট নেয়া সম্ভব। জানুয়ারির আগে প্রকল্প অনুমোদন না হলে এ কয়টি আসনেই ভোট হবে ইভিএমে।