সম্প্রীতি বজায় থাকুক

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের মূল শ্লোগন ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখা। তার ভিত্তিতেই দেশ স্বাধীন হয়। গোটা দুনিয়ায় বাংলাদেশ সম্প্রীতির বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত। বর্তমান সরকারের মূল ঘোষণা ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ আবার ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। শারদীয় দুর্গোৎসব সবার উৎসব হোক। সব ধর্মের মানুষের সম্প্রীতির মিলনকেন্দ্র হয়ে উঠুক। দুর্গাপূজায় সম্প্রীতির সম্মিলন ঘটার যে নজির সৃষ্টি হয়েছে, সেটা অটুট থাকুক।
মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল নৃগোষ্ঠী বাস করছে। যার যার ধর্ম অনুযায়ী তারা উৎসব পালন করছে। রাষ্ট্র এবং সংবিধান আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ পুরো মানব জাতির কল্যাণে সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতেই হবে। আমরা মনে করি দুর্গাপূজা কেবল সনাতন ধর্মের অংশ নয়। গোটা জাতি এই উৎসবের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এই শ্লোগানে পালিত হয়েছে দুর্গোৎসব।
আসুন শারদীয় দুর্গাপূজা আমাদের যেন সেই মন্ত্রে উজ্জীবীত করে। আমরা সবাই মিলে যেন বিশ^ ধর্ম, বিশ^ মানবতার জয়গান গাইতে পারি। তাহলেই বাস্তব রূপ নেবে সম্প্রীতি। তাহলেই ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ কিংবা ‘ ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। ‘অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠা হোক শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।