সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করব না-সিইসি

সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করব না-সিইসি

সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করব না বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে ইভিএম নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় আটটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়  করেন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা।

সভায় সিইসি বলেন, আমরা আমাদের দিক থেকে শতভাগ সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে কাজ করব। আমরা যারা কমিশনে আছি, তারা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ করব না। সরকারও চাইবে না আমরা আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করি।

ইভিএম নিয়ে মতভেদ কাটাতে রাজনৈতিক দলগুলোসহ সবার সহযোগিতা চান কাজী হাবিবুল আউয়াল। দলগুলোর প্রতিনিধিদের ইভিএম নিয়ে সন্দেহ দূর করতে ইভিএমের কারিগরি দিক দেখানো হয়।

সিইসি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে শতভাগ আস্থায় বিশ্বাস করি না। আপনি হারলে বলবেন উনি চোরামি করেছেন, উনি বলবেন আমি খুব সৎ। একই অবস্থাটা চলবে। এ একটা দ্বন্দ্ব সব সময় থেকে যাবেই।

তিনি বলেন, ইভিএমের উপর যেহেতু আপনাদের পুরোপুরি আস্থা আসছে না। আমরা আজকের আলোচনাটা আয়োজন করেছিলাম ব্যাপক কনসাল্টেশনের জন্য।

তিনি বলেন, ইভিএমে একজনের ভোট অন্যজনের দেওয়ার কোনো সুযোগই থাকবে না। আমরা জানি ইভিএম নিয়ে আপনাদের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে। এটা থাকতেই পারে। আমরা এটা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি।

গত ১৫ জুন কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএমে কারসাজির কোনো ধরনের অভিযোগ না পাওয়ার কথাও বলেন সিইসি।

সভায় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ইভিএম নিয়ে আপনাদের সন্দেহটা হলো- ভেতরে কেউ হয়ত অন্য চাপ দিয়ে দেবে। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে বিগত নির্বাচনে। কুমিল্লা ছাড়াও ১৩৭ টিতে ইভিএমে ভোটে কেউই কোনো প্রকার অভিযোগ করেনি।

তিনি বলেন, আস্থা না থাকার পেছনেও নিশ্চয়ই কারণ আছে। আস্থা একবার ভঙ্গ করলে তা পুনরুদ্ধারে সময় লাগবে। এ সময়টা আমরা নিচ্ছি। তবে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আমাদের কমিশন কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব করবে না, সঠিক কাজটি করবে।

ইভিএম নিয়ে বিরোধী দলগুলোর আস্থা অর্জনের চেষ্টায় ইসি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। এদিনের বৈঠকে ১৩টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে বিএনপিসহ পাঁচটি দল আসেনি।

উপস্থিত ছিল- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

এর আগে ১৮ জুনের বৈঠকে ১৩টি দলের মধ্যে ১০টি অংশ নিয়েছিল। ২৮ জুন আওয়ামী লীগসহ আরও ১৩টি দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।