সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদক পেলেন জিয়াউল আহসান

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান (এফপিপি, বিপিএম বার, পিপিএম বার) এ বছর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদক পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স প্রান্তে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসানকে ২০২০-২০২১ সালের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন প্রাপ্ত এই পদক প্রদান করেন।
গত রোববার (২১ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পদক প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
জিয়াউল আহসান ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম নাসির উদ্দিন আহমেদ বরিশাল শহরের একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন এবং মাতা মরহুম হোসনেয়ারা বেগম বরিশালের অন্যতম প্রচীন ও সুনাম সমৃদ্ধ স্কুল সিস্টারস্ ডে প্রাইমারির স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। বরিশালের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউল আহসান। পাঁচবোন এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে জিয়াউল আহসান চতুর্থ সন্তান। ১৯৮৫ সালে তিনি বরিশাল জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৮৭ সালে সরকারি ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিমিওলজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পদাতিক অফিসার হিসেবে কমিশন্ড লাভ করেন। তিনি দেশের বিভিন্ন সামরিক প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। ইতোপূর্বে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার, প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার এবং পদাতিক ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িতে ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস, জালালাবাদ সেনানিবাসের স্পেশাল ওয়ারফেয়ার উইংয়ের প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ মিশনে উল্লেখযোগ্য অবদানসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে মেজর পদে প্রেষণে বদলি হয়ে প্রথমে ২০০৯ সালে ৫ মার্চ র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক পদে নিযুক্ত হন। পরের বছর ২০১০ সালের ২৭ আগস্ট র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (অপারেশন) দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাঁকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নাতি দেয় এবং ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাকে নতুন পদায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে ২৮ এপ্রিল তিনি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালক ও পরবর্তীতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের পদে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি (এনটিএমসি) পরিচালক পদে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।