সারাদেশে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকা জরিমানা

ভেজাল, মানহীন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রির অভিযোগে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে দুই শতাধিক অসাধু ব্যবসায়ীকে প্রায় কোটি টাকা জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে জেল দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দিনভর র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় একযোগে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করা হয়।
র্যাব জানায়, সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভেজাল ও মানহীন খাদ্য পণ্য উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করে আসছিল। খাদ্য পণ্যের স্বাদ বাড়ানো, পচনরোধ ও আকর্ষণীয় করার জন্য মেশানো হচ্ছে মানবদেহের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শিশু খাদ্যেও ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেয়াদোত্তীর্ণ বা মেয়াদবিহীন খাদ্য পণ্য বিক্রি করছে, অনেক হোটেল ও রেস্টুরেন্টে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশন করা হচ্ছে।
অনেক ভুক্তভোগী বিভিন্ন সময়ে র্যাবের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি র্যাব অনলাইন মিডিয়া সেল এবং ফেসবুক পেজে অনেকেই এ সংক্রান্ত নেতিবাচক মন্তব্যসহ অভিযোগ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব দেশব্যাপী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) র্যাবের সব ব্যাটালিয়ন দেশব্যাপী একযোগে অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী ৬৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ২০৫ জন অসাধু ব্যবসায়ীকে ৯৭ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ছয়জন অসাধু ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় আর এক জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
দেশব্যাপী পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল মানহীন অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য ও খাদ্যপণ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যাদি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। কয়েকটি অভিযান এখনো চলমান রয়েছে বলেও জানান এএসপি আ ন ম ইমরান খান।