সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতা রনি ও রবিউল গ্রেপ্তার

স্বামীকে বেঁধে রেখে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রবাসে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আরো দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা হলো মামলার তিন নম্বর আসামি মাহবুবুর রহমান রনি (২৮) ও পাঁচ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম (২৫)।
এ নিয়ে এ মামলায় মোট চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
অভিযুক্ত রনির আপন মামা ও চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী জানান, রোববার রাতে হবিগঞ্জ শহরে আনন্তপুর এলাকার একটি বাসা থেকে রনিকে আটক করে র্যাব।
অপরদিকে রবিউল ইসলামকে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।
গ্রেপ্তার মাহবুবুর রহমান রনি হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বাগুনিপাড়া এবং রবিউল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে এ মামলায় গ্রেপ্তার হন আসামি সাইফুর রহমান ও আসামি অর্জুন লস্কর।
রোববার সকাল ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে।
শুক্রবার রাত পৌনে আটটা থেকে সাড়ে আটটার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করেছেন, তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
এ ছয়জন হলেন সাইফুর রহমান (২৮), তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ (২৮), শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম (২৫)।