হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে জামালপুরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ

চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে এবং সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকেরা।
আজ রবিবার সকাল থেকে চিকিৎসকেরা এই কর্মবিরতি শুরু করেন। তবে জরুরি ও অন্তবিভাগে চিকিৎসা সেবা চালু রেখেছেন তারা।
শুক্রবার এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের ওপর হামলা ও মারধর করেন রোগীর স্বজনরা। পরে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা উত্তেজিত হয়ে রোগীর স্বজনদের মারধর করলে পুলিশ চিকিৎসকদের ওপর ব্যাপক লাঠিপেটা করে।
এ সময় কয়েকজন ডাক্তার আহত হন। পরে পুলিশ ৭ জন চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কিছু সময় পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সদর থানার ওসির প্রত্যাহার ও হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকেরা।
এদিকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা রোগীদের। সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছে। তবে ইনডোর ও জরুরি বিভাগে সেবা প্রদান চলছে।
ভোরের আলো/ভিঅ/২৭/১২/২০২০