১০ ডিসেম্বর নিয়ে কথা বলেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ১০ ডিসেম্বরের পর দেশে বড় পরিবর্তনের হুঁশিয়ারি দেন। এরপর থেকেই জনমনে ও রাজনৈতিক মহলে আগ্রহ জন্মেছে কী হতে যাচ্ছে ১০ ডিসেম্বর। সেই ১০ ডিসেম্বর নিয়ে কথা বলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের (উপস্থিত অতিথিরা) কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছি ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরে কী হবে? বিএনপির ইতোমধ্যে কয়েকটি সমাবেশ হয়েছে। আরও তিন-চারটা সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশগুলো একসঙ্গে যোগ করে ঢাকার কোনও এক জায়গায় প্রতিস্থাপন করতে পারবেন? তার মানে ঢাকায় একটা হুলুস্থুল হবে। মহাসমাবেশ, যেটা জীবনে এর আগে কখনও হয়নি। আপনারা কি মনে করেন এরপরই এই সরকারের পতন হবে?
রবিবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘যুগপৎ আন্দোলন ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, দেশ এখন একটি পরিস্থিতির সরাসরি মুখোমুখি হয়েছে। এখন সেই পরিস্থিতি ও আমাদের সবার সামনে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কয়েকটি মহাসমাবেশ হয়েছে, যেখানে জনসমাগম দেখা গেছে। বিএনপি কি নিজেও বুঝেছিল এই মহাসমাবেশ এত বড় হবে? একের পর এক এই মহাসমাবেশে শক্তির তরঙ্গ সৃষ্টি হবে?
তিনি আরও বলেন, আমরা সাহস নিয়ে যদি রাস্তায় নামতে পারি, মনে করি এই সরকারের পতন হবে। পুরা পরিস্থিতিটাই বদলে গেছে। এই সমাবেশগুলোর আগে একটা ভয়ের চাদর সারা দেশে ঢেকে গিয়েছিল। এখন কোনও ভয়ের চাদর নাই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের মাঝে প্রত্যয় এনে দিতে পারবেন যে আমরা জয়ের দিকে যাচ্ছি।
সরকার ঢাকায় সমাবেশ করতে দেবে না মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ঢাকার সমাবেশ দেখে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না। বরং ক্ষমতা থাকার জন্য যা যা দরকার তা-ই করবেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ডিসেম্বর আসতে আসতে আওয়ামী লীগ যে ঘোষণা দিয়েছে সেই ঘোষণায় সারা ঢাকায় তারা একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইবে। তারা বলছে ডিসেম্বরে বিজয় অর্জন করবো। তার মানে র্যাব, পুলিশ, আর্মি যাই হোক তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য ঢাকাবাসীকে একসঙ্গে তৈরি করতে হবে আমাদের। আর সেই লড়াইয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ ঘোষণা করছে, আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপির সঙ্গে থাকবো। কিন্তু সেই লড়াইয়ের সম্পর্কে পুরো ধারণা আমাদের কাছে দিতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণতন্ত্র মঞ্চের রাজনৈতিক দলের নেতারা।