১৫ আগস্টের পর আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকারও ছিল না

১৫ আগস্টের পর আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকারও ছিল না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টের পর নির্বাসিত সময়ে বিচার চাওয়ার অধিকারও আমাদের ছিল না। রিফিউজি হিসেবে ছিলাম। বাবা-মা-ভাইয়ের হত্যার বিচার পাওয়ার অধিকার আমাদের ছিল না। কারণ খুনিদের রক্ষায় ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছিল। বিচার পাওয়ার অধিকারটুকুও কেড়ে নেয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিশনকে তখন জিয়াউর রহমান দেশে আসতে দেয়নি।

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মিলনায়তনে চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের আঁকা শিল্পকর্ম নিয়ে আয়োজিত ‘শাহাবুদ্দিন : এ রেট্টোস্পেক্টিভ (১৯৭৩-২০২৩)’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাঙালি, জাতির পিতা আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। শিল্পী শাহাবুদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার তুলিতে উঠে আসে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, যে বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা দিয়েছিলেন, যেই বাড়ি থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, সেই বাড়িতেই জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাই এই সম্পত্তিটা আমরা জনগণকে উৎসর্গ করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট করে এই বাড়িটি আমরা দান করে দিয়েছি। যদিও ঢাকা শহরে আমাদের দুই বোনের থাকার কোনো বাড়ি ছিল না।

তিনি বলেন বলেন, সেখানে সিঁড়িতে জাতির পিতা শহীদ হয়েছেন, সেখানে সাহাবুদ্দিনের আঁকা ছবি রেখেছি। কারণ শিল্পীর আঁকা ছবি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা যায়। সেইসঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া যায়। একটা চেতনাও জাগ্রত হয়। আর আমাদের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।