২৪ ঘণ্টা না যেতেই ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি

২৪ ঘণ্টা না যেতেই ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় নেতা নারায়ণগঞ্জে শোডাউনে এসে বলেছেন, তৈমুর ঘুঘু দেখেছে, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমাকে রেজাল্ট দেখাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু এবং ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের একটি বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর আলম এসব কথা বলেন।

এ স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান সমন্বয়ক। নির্বাচনী এজেন্ট নির্ধারণ এবং নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত সব দায়িত্ব তার ওপর অর্পিত ছিল। আমি জানতে পেরেছি সোমবারই রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তৈমুর অভিযোগ করে বলেন, সরকারি দলের বড় বড় নেতাদের নারায়ণগঞ্জে এনে নানা উসকানিমূলক ও হুমকিমূলক বক্তৃতা দেওয়ানো হচ্ছে। একজন সম্মানিত মেহমান বলেছেন যে, ‘তৈমুরকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না’। এসব করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে। 

এ স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান সমন্বয়ক। নির্বাচনী এজেন্ট নির্ধারণ এবং নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত সব দায়িত্ব তার ওপর অর্পিত ছিল। আমি জানতে পেরেছি সোমবারই রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তৈমূর বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে আরও জানাচ্ছি, সকালে আমার সিদ্ধিরগঞ্জের একটি ওয়ার্ড সদস্য মোশারফ হোসেন জানালেন তার বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। মাজাহারুল ইসলাম জোসেফের বাড়িতে পরশু তল্লাশি করেছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। সে যুবদলের কার্যক্রমে প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছে। বন্দর থেকে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আমাকে সমর্থন করায় তার বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। কেয়ারটেকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, দেশবাসী দীর্ঘ দিন সুষ্ঠু ভোট পায় না। দিনের ভোট রাতে হয়ে যায় সে অভিযোগও রয়েছে। এই নির্বাচনে যদি আপনি পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেন, তবে রাজনৈতিক দলগুলো আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সে অভিযোগগুলো প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি মনে করি। এমনিতেই সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ‘সরকারের অনেক বড় বড় কর্মকর্তা যারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে ছিলেন, আছেন, তাদের বিদেশ যাওয়ার ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে সবিনয় নিবেদন করে বলছি, আপনার নিজের ভাবমূর্তির প্রশ্নে বিষয়টি আপনি বিবেচনা করবেন এবং নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন করতে গিয়ে আমরা যাতে হয়রানির শিকার না হই সে ব্যাপারে আমি আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করি।’