‘অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির ঘটনা বাড়বে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ, এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের পর্যায়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে । এই কর্মকৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুতি প্রতিরোধ এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে যথাযথভাবে পুনর্বাসন করা হবে। বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জৈবিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে একীভূত করা হবে । তাদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন, অভীষ্ট ও বদ্বীপ পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনে সরকার কাজ করছে ।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত বন্যা, গ্রীষ্মকালীন ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও খরাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে থাকে । প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বর্তমানে যে পরিমাণ বাস্তুচ্যুতি ঘটছে তার মাত্রা ও তীব্রতা আসন্ন বছরগুলোতে আরও অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে । এসব কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের একক বৃহত্তম ক্ষতিকর রূপ হতে যাচ্ছে অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতি ।
এনামুর রহমান বলেন, সরকার ২১০০ সালের মধ্যে নিরাপদ, জলবায়ু সহিষ্ণু এবং সমৃদ্ধ ব-দ্বীপ অর্জনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২০২১’ প্রণয়ন করেছে ।
সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প হচ্ছে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধন করে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা ।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সরকারের এই কৌশলগত রূপকল্পের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ । এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার বৃহত্তর সামাজিক উন্নয়ন কাঠামোর (SDF) মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নীতিমালা, কর্মপরিকল্পনা এবং কৌশল ঢেলে সাজাচ্ছে এবং নতুন করে প্রণয়ন করছে ।