‘ব্যাটিং নিয়ে অতো উদ্বিগ্ন নই’

‘ব্যাটিং নিয়ে অতো উদ্বিগ্ন নই’

৬, ০, ১, ৭, ৮৮, ১৩*, ০, ৩৭, ০, ২, ৬, ৫, ২- মুমিনুল হকের সর্বশেষ ১৩ ইনিংসের স্কোর। কিন্তু টানা ব্যর্থতার পরও টেস্ট অধিনায়ক বলছিলেন নিজের ফর্ম নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন তিনি। অথচ গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে ব্যর্থতার এই মিছিল শুরু তার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের ম্যাচেই কেবল ৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। বাকি ১২ ইনিংসের মধ্যে মাত্র দুবার দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন! আশা করা হচ্ছিল, লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসবেন। অথচ দেখা গেলো একই পরিণতি! চট্টগ্রামে নিষ্প্রাণ ড্রয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক আরও একবার জানিয়ে দিলেন, নিজের অফফর্ম নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নন তিনি।

তবে স্বস্তির জায়গা হলো, চার ম্যাচ পর দেশের মাটিতে বাংলাদেশ হার এড়াতে সক্ষম হয়েছে। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে দলের সব ব্যাটার ভালো করলেও শান্ত-মুমিনুল ব্যর্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার নিজের ব্যাটিং নিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘আমার ব্যাটিং নিয়ে আমি অতো উদ্বিগ্ন নই, চিন্তিতও না। সত্যি কথা হলো অতো বেশি চিন্তিত নই।’

প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানের ওপেনিং জুটির পর দ্রুতই দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক ১২ রানের মধ্যে ফিরেছেন। এরপর  মুশফিক-লিটনের লম্বা জুটির পর শূন্য রানে পরপর বিদায় নেন লিটন, তামিম। কিছু দিন ধরেই বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং ধস হচ্ছে। চট্টগ্রাম টেস্টের আগে প্রধান কোচ জানিয়েছিলেন, এই সমস্যা নিয়ে কাজ করছেন তারা। কিন্তু সমাধান আর পাওয়া যাচ্ছে কই? উত্তরে মুমিনুল বলেছেন, ‘একটা দলে তো ১১ জনের পারফর্ম করা কঠিন, তাই না? ১১ জন যদি একশ’ করে তাহলে তো রান ১১০০ হবে। আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেট খেলাটাই তো এরকম। হয় দুজন পারফর্ম করবে বা তিন জন পারফর্ম করবে। যারা করবে, তারা বড় করবে। এটা বড় কোনও বিষয় নয়।’

মাঝের ওভারগুলো কিছুটা চেপে ধরতে পারলে চট্টগ্রাম টেস্টের ফল পাওয়া যেত বলে মনে করেন মুমিনুল, ‘আমার কাছে মনে হয় আরেকটু যদি মাঝের সময়ে একটা উইকেট নেওয়া যেতো তাহলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হতে পারতো। একটা টেস্টে ড্র হওয়ার পর সবাই যেহেতু রানে আছে, সবাই যেহেতু দল হিসেবে খেলতে পেরেছে; ব্যাটসম্যান হোক বা বোলার, দলগতভাবে আমরা যখন ভালো খেলি তখন কিন্তু ভালো ফল পাই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যখন ভালো করি, তখন দল ভালো পজিশনে থাকে। অবশ্যই এটা ঢাকায় কাজে দেবে।’