‘ভালো বোলিং করা দরকার ছিল’

‘ভালো বোলিং করা দরকার ছিল’

নিউজিল্যান্ডে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশের পেসারদের দুই রকম চরিত্র ধরা দিলো। প্রথম টেস্টে পেসারদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে খেই হারিয়েছিল কিউইরা। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমে টস জেতার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের পেসার ত্রয়ী তাসকিন-এবাদত-শরিফুল। সবুজ উইকেটে ঠিক যেমন বোলিং করা উচিত ছিল, সেভাবে করতে পারেনি। তাতে রানের পাহাড় গড়ে তোলার পথে নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে দিনশেষে ১ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩৪৯।

আগের টেস্ট জয়ের নায়ক ছিলেন পেসার এবাদত হোসেন। এই পেসারকে দ্বিতীয় টেস্টে বিন্দুমাত্র সুযোগ দেননি কিউই ব্যাটাররা। ২১ ওভারে ৫.৪২ গড়ে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন তিনিই। বাংলাদেশকে রানের চাপে পিষ্ট করা ব্যাটার টম লাথাম আছেন ডাবল সেঞ্চুরির অপেক্ষায় (১৮৬)। অন্যদিকে সেঞ্চুরির অপেক্ষা আছেন ডেভন কনওয়ে (৯৯)। সব মিলে তাই কঠিন পরিস্থিতির সামনে বাংলাদেশ। তারপরও পেসারদের পাশে দাঁড়ালেন বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। বলেছেন, ‘ছেলেরা সঠিক পথে আছে। ১২ ম্যাচ খেলা এবাদত আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার। শরিফুল তার তৃতীয় বা চতুর্থ টেস্ট খেলছে, তাসকিন খেলেছে ৯টি। অনভিজ্ঞতা দেখলে আজকের দিনটিও তাদের জন্য শিক্ষা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কঠিন ব্যাপার। প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য এখানে প্রস্তুত থাকতে হয়।’

তবে গত সপ্তাহে পেসাররা যে শৃঙ্খলা মেনে বোলিং করেছেন, সেটি এই টেস্টে অনুপস্থিত ছিল বলেই মনে করেন গিবসন। পাশাপাশি কিউই ব্যাটারদের প্রশংসাও করেছেন, ‘ওরা (কিউই ব্যাটাররা) অবশ্যই খুব ভালো খেলেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত সপ্তাহে আমরা গোছানো বোলিংয়ের যে নজির দেখিয়েছিলাম, এবার তা পারিনি। ল্যাথাম খুব ভালো খেলেছে। সকালে অনেক ভালো বল সে ছেড়েছে এবং আমাদের বাধ্য করেছে তার শরীরে বল করতে।’

ক্রাইস্টচার্চের সবুজ উইকেট নিয়ে প্রত্যাশা ছিল অনেক। বিশেষ করে সিম মুভমেন্টের আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু বোলিং কোচ জানালেন, ‘সবুজ উইকেট দেখলে যেমনটা মনে হয়, বল ততটা মুভ করেনি আজকে। আমাদের ধারণা ছিল উইকেট থেকে সহায়তা মিলবে। কিন্তু যতটুকু মেলার কথা ছিল মেলেনি। তবে একে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চাই না। যতটা ভালো বোলিং করা উচিত ছিল, ততটা ভালো আমরা করতে পারিনি।’

প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ড বধের পর উৎসব হয়েছে ড্রেসিং রুমে। ক্রিকেটাররা প্রত্যেকেই দারুণ খুশি ছিলেন। এমন উচ্ছ্বাসে কি বাংলাদেশের মনোযোগ সরে গেলো? পেস বোলিং কোচ অবশ্য এমনটা মনে করেন না, ‘গত সপ্তাহে আমরা অবশ্যই উঁচুতে ছিলাম। নিউজিল্যান্ড গত সপ্তাহে নিশ্চয়ই চোট পেয়েছে এবং এখানে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখিয়েছে কেন তারা বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। কেন তারা গদাটি (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি) পেয়েছে।’

গিবসন আরও যোগ করে, ‘এটা স্রেফ আরেকটা দিন। নিশ্চয়তা নেই যে প্রতিটি দিনই ভালো যাবে। আমাদের তাই তরতাজা হয়ে কালকে (সোমবার) ভালো দিনের চেষ্টা করতে হবে।’