‘সংস্কৃতিসেবীদের ভাতা দেওয়া হবে জিটুপি পদ্ধতিতে’

‘সংস্কৃতিসেবীদের ভাতা দেওয়া হবে জিটুপি পদ্ধতিতে’

দেশব্যাপী সংস্কৃতিসেবীদের সরকারি ভাতা/অনুদান জিটুপি পদ্ধতিতে-‌নগদ বা বিকাশ বা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দেওয়া হবে। আর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অনুদান দেওয়া হবে ইএফটির মাধ্যমে। এর ফলে এই সেবার মান ও গতিশীলতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইনভিত্তিক এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‌‘দেশের প্রতিটি মানুষ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে। বিভিন্ন নাগরিক সেবার ডিজিটালাইজেশনের কারণে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, দুর্নীতি, হয়রানি, দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাস পেয়েছে। আর এর পেছনের কারিগর হিসাবে কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সুযোগ্য পুত্র আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।’

কে এম খালিদ বলেন, ‌‘যাচাই-বাছাইপূর্বক দেশব্যাপী অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তারপরও কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে, যা সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনুদানপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে যাতে সঠিকভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ভাতা/অনুদান জিটুপি পদ্ধতিতে আইবাসের মাধ্যমে সরাসরি প্রেরণের মাধ্যমে সেবার মান ও গতিশীলতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে।’ প্রতিমন্ত্রী গতবছর ইলেকট্রনিক ফাণ্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র হতে বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহে অনুদান প্রদান প্রক্রিয়া চালু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।