আমতলীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ

আমতলীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ

বরগুনার আমতলী উপজেলার গোছখালী গ্রামে রামেশ্বর চন্দ্র রায়(৭৫)-এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় হামলাকারীরা দোকানে থাকা মালামাল লুট ও মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

দায়েরকৃত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানায়, গোছখালী গ্রামের মতি শিকদার, মামুন শিকদার, আল আমিন শিকদার ও মকবুল শিকদারের সাথে অসহায় দরিদ্র রামেশ্বর চন্দ্র রায়ের পরিবারের জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে ২৬ এপ্রিল দিবাগত রাত অনুমান ৪টার উল্লেখিত ব্যক্তিরা একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে রামেশ্বর চন্দ্র রায়ের দোকান ঘরটি ভাংচুর করিয়া পুকুরে ফেলে দেয় এবং দোকানে থাকা মালামাল লুট করিয়া নিয়ে যায়। তখন রামেশ্বর চন্দ্রের পরিবারের লোকজন ঘর ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে সন্ত্রাসীদের বাঁধা প্রদান ও নিষেধ করিলে তারা অহেতুক তকের্র সৃষ্টি করিয়া রামেশ্বর এবং তার পরিবারের লোকজনকে দেশিয় অস্ত্র দা, শাবল ও লাঠিসোটা নিয়া খুন জখমের উদ্দেশ্যে ধাওয়া দেয়। ওই সময় তারা প্রাণ ভয়ে ডাক চিৎকার করিলে স্থাণীয় লোকজন আসিয়া পড়ায় সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে সটকে পড়েন।  

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রামেশ্বর চন্দ্র রায়ের দোকান ঘরটি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাস্তার পাশের পুকুরের মধ্যে পড়ে রয়েছে। 

ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত রামেশ্বর চন্দ্র রায়ের পরিবারের সদস্য অনিমা রানী, সোনা রানী রেনু রানী বলেন, ‘আল আমিন শিকদার মামুন শিকদার গংদের ভয়ে ও তাদের হুমকিতে আমাদের বাড়ীর যুবতী মেয়েদের নিজ বাড়ীতে পর্যন্ত রাখতে পারছিনা। তারা গায়ের জোরে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের সম্পত্তির ১৮টি ভিটি বিক্রি করে দিয়েছে। তাদের ভয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যরা স্বাভবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারছেনা। প্রতিনিয়ত আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।’

রামেশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর শিকদার বাড়ীর লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ও আমার পরিবারের সদস্যদের খোঁজাখুজি করতেছে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় এক প্রকার পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’ 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থাণীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানায়, শিকদারদের সাথে রামেশ্বর চন্দ্র রায়ের জমিজমা নিয়ে বিরোধে দোকান ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত আল আমিন শিকদার মুঠোফোনে তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কে বা কাহারা রামেশ্বর চন্দ্র রায়ের দোকান ভাংচুর করেছে তা আমরা জানিনা।’ এছাড়া তিনি অনেকদিন ধরে অসুস্থ্য ও ঘটনাস্থলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।