ইতিহাস গড়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে পা দিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গড়ল ইতিহাস।
বৃহস্পতিবার পচেফস্ট্রুমে আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড যুব দলকে ৬ উইকেটে হারায় বাংলাদেশের যুবারা। নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথম বাংলাদেশ খেলবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল।
শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ কেন, ক্রিকেটের যে কোনো পর্যায়ের বিশ্বকাপে এটিই বাংলাদেশের প্রথম ফাইনাল। রবিবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের যুবারা।
শুরুতে বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষকে অল্প রানেই বেঁধে রাখা। এরপর মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরি। তাতেই ধরা দিল স্বপ্নের ফাইনাল।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২১১ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। জবাবে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৫ বল হাতে থাকতেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের মুখে কিছুটা অস্বস্তিতে ভুগছেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান ইমন। দুজনের কেউই পরেননি বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই তানজিদ ফিরে যান ব্যক্তিগত ৩ রানে। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ২৩। ৯ রানের ব্যবধানে ফিরে যান ইমনও। ১৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর ৬৮ রানের জুটিতে শুরুর অস্বস্তি কাটান মাহমুদুল ও তৌহিদ হৃদয়। ৪৭ বলে ৪ চারে ৪০ রান করে হৃদয় ফিরলে এই জুটির পতন হয়। ২৩তম ওভারে আদিত্য অশোকের বলে স্টাম্পড হন হৃদয়।
বাংলাদেশ আসলে তখনো জয় থেকে অনেকটা পথ দূরে। রানের হিসেবে ঠিক ১১২। হাতে ২৭ ওভারের মতো। দুই দলই ম্যাচে সমান অবস্থায়। হাতে উইকেট বলে বাংলাদেশের হয়তো একটু এগিয়ে।
তবে ওই সময় প্রয়োজন ছিল নির্ভার থেকে খেলে যাওয়া। সেই কাজটা করেছেন মাহমুদুল। তরুণ এই তুর্কি তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১২৬ বলে ১৩ চারে পৌঁছান শতকের ল্যান্ড মার্কে। যদিও সেঞ্চুরির ঠিক পরের বলেই ফেরেন তিনি।
তবে বাংলাদেশ তার আগেই জয়ের ঘ্রাণ পেতে শুরু করেছিল। শামিম হোসেনকে নিয়ে শেষের কাজটা করেছেন শাহাদাত হোসেন। মাহমুদুলের সঙ্গে যার ছিল ১০১ রানের জুটি। শাহাদাত ৫১ বলে ৪০ ও শামিম ২ বলে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে দারুণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যটা নাগালে রাখতে সক্ষম হয় বাংলাদেশের যুবারা। এদিন শুরু থেকেই কিউই যুবাদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলাম, শামিম হোসেন, হাসান মুরাদরা পুরোটা সময় দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে গেছেন।
কিউইদের হয়ে লড়াই করেছেন কেবল হুইলার-গ্রিনল। দলীয় সর্বোচ্চ রানটি তার। ৮৩ বলে অপরাজিত ৭৫ রান করেছেন তিনি ৫ চার ও ২ ছক্কায়। এ ছাড়া ৪৪ রান করেছেন নিকোলাস লিডস্টোন।
বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল সর্বাধিক ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২টি উইকেট নিয়েছেন শামিম ও মুরাদ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল।