ইসরায়েলকে একহাত নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

ইসরায়েলকে একহাত নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

ইউক্রেন যুদ্ধে ইসরায়েলের ‘নিরপেক্ষতার’ সমালোচনা করে দেশটিকে একহাত নিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশটির নেতারা আদতে ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করছে। ইসরায়েলি একটি দৈনিক পত্রিকা আয়োজিত একটি সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

রুশ হামলা নস্যাৎ করে দিতে কিয়েভকে আয়রন ডোম অ্যান্টি মিসাইল প্রযুক্তি সরবরাহের জন্য তেল আবিবের প্রতি অনুরোধেরও পুনরাবৃত্তি করেন জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রণক্ষেত্রে রুশদের পরাস্ত করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের নিজস্ব আয়রন ডোম নেই। আমাদের এখনও একটি আধুনিক ও কার্যকর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই যা আমাদের আকাশকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ আগ্রাসনের পর ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। তবে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির আশঙ্কায় কিয়েভকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা থেকে বিরত রয়েছে দেশটি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ গত সোমবার তার ইউক্রেনীয় সমকক্ষ ওলেক্সি রেজনিকভকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তার দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না।

ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়াকে ‘বিরক্ত না করার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল আবিব। আর এজন্যই ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে রাজি নয় তারা। তবে এর মধ্য দিয়ে তারা ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ শেষ করার পর রাশিয়া এখন অন্য দেশ থেকে অস্ত্র খুঁজছে। এটি তারা ইরানে খুঁজে পেয়েছে।

জেলেনস্কি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, রাশিয়া কীভাবে ইরানকে সমরাস্ত্রের অর্থ পরিশোধ করে? তেহরান কী শুধু অর্থের জন্যই মস্কোকে এসব দিচ্ছে? এটা হয়তো পুরোপুরি অর্থের জন্য নয়! বরং তারা হয়তো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে রাশিয়ার সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী।