ফেরার অনিশ্চয়তায় রাজধানী ছাড়ছে মানুষ

ফেরার অনিশ্চয়তায় রাজধানী ছাড়ছে মানুষ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। তবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে ফের ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধে যাচ্ছে সরকার। ওই সময়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধের মধ্যে গণপরিবহনও বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ ঈদের পরের দিন (২২ জুলাই) পর্যন্ত কর্মস্থলে ফেরার সুযোগ পাবেন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষেরা। এমন অনিশ্চয়তা নিয়েই রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ।

এদিকে ঈদের মাত্র একদিন বাকি। এমন অবস্থায় রাজধানীর সবকটি বাস টার্মিনালে ঈদযাত্রায় মানুষের চাপ দেখা গেছে। তবে সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিলো না। ভাড়া ৬০ শতাংশ বেশি দিয়েও পাশাপাশি বসে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এক সিট করে খালি রেখে বসার নিয়ম থাকলেও, একই পরিবারের সদস্য হওয়ায় পাশাপাশি বসছেন যাত্রীরা।

যাত্রীদের অভিযোগ, এক আসন খালি রেখে বসলেও, মাঝপথে যাত্রী উঠিয়ে খালি আসন পূরণ করা হচ্ছে। তারমধ্যে ভাড়াও বেশি নেওয়া হচ্ছে। যদিও ভাড়া বেশি নেবার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার পরিবহণ সংশ্লিষ্টদের।

অন্যদিকে যারা বাড়ি যাচ্ছেন তাদের রাজধানীতে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আকরাম নামে এক যাত্রী বলছেন, গত দুই ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। এবার তো যেতেই হবে। ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাঁদপুর থেকে আসতে সমস্যা হবে না। রাস্তায় তো শুধু বাস চলবে না। কিছু না কিছু তো চলবে। ভেঙে ভেঙে চলে আসবো।

জিল্লুর নামে চট্টগ্রামের এক যাত্রী বলছেন, অফিসে আগেই বলে দিয়েছি ঈদের পরে বিধিনিষেধ কঠোর হলে ঢাকায় ফিরবো না। আর এমনিতেই তখন অফিস বন্ধ থাকবে।

তোফায়েল বলছেন, কিছু করার নেই। ঈদের পরের দিনই ঢাকায় ফিরতে হবে। রিক্স নিতে চাই না। যদি বিধিনিষেধের কারণে না আসতে পারি। তাহলে তো চাকরিই থাকবে না।

উল্লেখ্য, বিটিআরসির তথ্য মতে, গত ১৫ ও ১৬ জুলাই প্রায় ১৭ লাখ সিম ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছে।