বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু, মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

বরিশালে দীর্ঘ দেড় মাস পর সব রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না সবক্ষেত্রে। একজনের পাশে অন্যজনকে বসতে দেখা গেছে।
সোমবার সকাল ছয়টা থেকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করে। তবে সব লঞ্চেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত ছিল।
সোমবার সকাল ছয়টা থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করবে বিলাসবহুল পাঁচটি লঞ্চ।
জানা গেছে, সোমবার সকাল ৬টা থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীণ সবগুলো রুটে যাত্রী পরিবহন করছে ছোট লঞ্চ। এসব লঞ্চে যাত্রীদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে মালিক-শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা এখন মাস্ক পরিধানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছি। নদী বন্দরে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে উৎসাহিত করতে কাজ করছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল নদীবন্দর থেকে খুব সকাল থেকেই বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতের জন্য পন্টুনে ভিড় করছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি। যাত্রীরা পন্টুনে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক সঠিকভাবে না পরলেও লঞ্চে ওঠার সময় মাস্ক পরে উঠছেন। আবার লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার পরে মাস্ক খুলে ফেলেছেন অনেকে।
একাধিক লঞ্চ যাত্রী জানান, মাস্ক পরলে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সে জন্য লঞ্চে ওঠার সময় মাস্ক পরি। পরে খুলে রেখেছি।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুল হাসেম মাস্টার বলেন, সকাল থেকেই বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, কালীগঞ্জ, লালমোহন, চরকলমি, বোরহানউদ্দিন, বাহেরচর রুটে লঞ্চ চলাচল করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আজ যাত্রীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। যদি তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনিচ্ছুক হয় তাহলে প্রশাসনের সহায়তায় আমরা তাদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে বাধ্য করা হবে।
সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে এমভি পারাবত ১০, সুন্দরবন ১০, সুরভী ৯, কীর্তনখোলা ১০ এবং মানামী যাত্রী নিয়ে যাবে। আমরা সরকারি সকল নির্দেশনা অনুসরণ করেই যাত্রী পরিবহন করব।
সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর লঞ্চ ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত করা হয়েছে। সন্ধ্যায় যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করব আমরা।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করবে। পূর্বে ডেকে জনপ্রতি ভাড়া ছিল ২০০ টাকা। যা বর্তমানে ৪০০ টাকা করে নেওয়া হবে। তবে কেবিনের ভাড়া আগের মতোই থাকবে।