বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫ জন

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫ জন

ভৈরবে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৫-৬টি দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের হাসপাতাল সংলগ্ন ৯নং ওয়ার্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে আছেন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম (৪২) ও তার ছেলে রাতুল (২৭), আর অপরপক্ষের আহত হলেন বিএনপি নেতা আনার মিয়ার পক্ষের জসিম মিয়া (৩৫)। গুরুতর আহত দুইজনকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলমের আগমন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চন্ডিবের এলাকায় নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ সময় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয় এবং বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়।

আহত শফিকুল ইসলামের শালি বিউটি বেগম অভিযোগ করেন, তার দুলাভাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মারধর করা হয়। তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তিনি।

৯নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি হাজী আক্তার মিয়া জানান, কথাকাটাকাটির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে বিষয়টি মীমাংসা হলেও পরে পুনরায় সংঘর্ষ বাধে।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রেজিনা পারভীন জানান, সংঘর্ষে আহত ৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জে পাঠানো হয়েছে।

ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।