বৈষম্য নিরসনের দাবি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের বরিশালে

ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদতৈরি, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন বরিশালের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডাররা।
দাবি আদায়ে ২ অক্টোবর একদিন এবং ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর তিন দিনের কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
বরিশাল প্রেস ক্লাবের হলরুমে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি জেলা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর ড. এএস কাইউম উদ্দিন আহমেদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আলামিন সরোয়ার, সাংগঠনিক সচিব ড. মো. ইব্রাহিম খলিল ও শাকিল আহমেদ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে প্রফেসর কাইউম বলেন, বঞ্চনা আর বৈষম্যের মাধ্যমে এই পেশার কার্যক্রমকে সংকুচিত করা হয়েছে। অপেশাদাররা এই পেশাকে গ্রাস করছে। শিক্ষার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে ৪র্থ গ্রেডের ওপর কোন পদ নেই। শিক্ষা ক্যাডারে সর্বোচ্চ পদ অধ্যাপক পদটি চতুর্থ গ্রেড হওয়ায় পঞ্চম গ্রেড হতে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ নেই। তাই অধ্যাপকটি তৃতীয় গ্রেডে উন্নিত করা এবং আনুপাতিক হারে প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেডের পদ তৈরি করা জরুরী হয়ে পড়েছে। এছাড়া ২০১৫ সালে নতুন পে-স্কেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডাররা। আমাদের পূর্ণ গড় বেতনে অর্জিত ছুটির বিষয়ে ২০০৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি প্রদান করলেও প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাবে এটি আলোর মুখ দেখেনি। তাই সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারদের দাবি আদায়ে জরুরীভাবে একটি দক্ষ, যুগোপযোগী ও স্বয়ংসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা সময়ের দাবি।
শিক্ষক কাইউম আরও বলেন, অন্য ক্যাডারদের মত শিক্ষা ক্যাডারে ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি না হওয়ায় আমরা পিছিয়ে আছি। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জনবলের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। শিক্ষার্থী, সিলেবাস, কোর্স সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু সেই তুলনায় পদ তৈরি হয়নি। তাই শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকের পদ তৈরি করা অপরিহার্য।