মাধ্যমিকের ক্লাশ দুই ঘন্টা এগিয়ে প্রাথমিকের ক্লাশ চলাবস্থায় স্কুল মাঠে বিয়ে

মাধ্যমিকের ক্লাশ দুই ঘন্টা এগিয়ে প্রাথমিকের ক্লাশ চলাবস্থায় স্কুল মাঠে বিয়ে

একই কম্পাউন্ডে প্রাথমিক এবং বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মাধ্যমিকের ক্লাশ দুই ঘন্টা এগিয়ে এনে এবং প্রাথমিকের ক্লাশ চলাবস্থায় স্কুল মাঠে হয়ে গেলো বিয়ের অনুষ্ঠান। বরিশাল নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকায়  বৃহস্পতিবার এই বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি নিয়ে স্কুল মাঠে বিয়ের আয়োজন করার কথা জানিয়েছেন কনে পক্ষের লোকজন। এ জন্য নবম ও দশম শ্রেনীর ক্লাশ দুই ঘন্টা এগিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন মাধ্যমিকের এক শিক্ষক। অপরদিকে আপত্তি উপক্ষো করে স্কুল মাঠে বিয়ে আয়োজন করার অভিযোগ করেছেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে বরিশালে। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। 

নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ সিকদার বাড়ির ইয়ার উদ্দিন খলিফার মেয়ে সুমী আক্তারের বিয়ে ছিলো গতকাল বৃহস্পতিবার। সুমী ওই এলাকার মোফাজ্জল হোসেন খান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এ কারনে স্কুল মাঠেই সুমির বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তার পরিবার। অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি নেয়া হয়েছে বলে দাবী করেন কনের বাবা ইয়ার উদ্দিন সিকদার। 

এদিকে বিয়ে উপলক্ষ্যে নবম ও দশম শ্রেনীর ক্লাশ দুই ঘন্টা এগিয়ে এনে সকাল ১০ টায় শিক্ষার্থীদের ছুটি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীমা আফরোজ। তবে আপত্তি উপেক্ষা করে স্কুল মাঠে বিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানিয়েছেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক অর্চনা রানী বনিক। 

ম্যানেজিং কমটির সভাপতি আশরাফুজ্জামান খান রনি জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিদ্যালয় মাঠে বিয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে বন্ধ করা হয়নি। সকাল থেকে তিনট ক্লাস হয়েছে। 

শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত করে স্কুল মাঠে বিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিস্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সোহেল মারুফ। 

এ বিষয়ে জানতে মোফাজ্জেল হোসেন খান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদেরে সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

ইয়ার উদ্দিন সিকদারের মেয়ের বিয়ে হয় সদর উপজেলার পশ্চিম চর হোগলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলের সাথে।