মুজিববর্ষে ১২৮৪ কোটি টাকা পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারী

মুজিববর্ষে ১২৮৪ কোটি টাকা পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারী

মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত ১২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর ১২৮৪ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধে ঘাটতি থাকা ৮০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে অবসর ও কল্যাণ বোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব শরীফ আহমদ সাদীকে আশ্বস্ত করেছেন।

জানা যায়, চাকরি জীবনে জমানো টাকা অবসরে যাওয়ার পর সময় মতো পান না বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা। অবসর বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় অনেক শিক্ষক তার জমানো টাকা না পেয়েই মারা যান। অনেকে টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায়ও মারা যান। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন অবসর ও কল্যাণ বোর্ডের শিক্ষকরা।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের ১ জুলাই যারা আবেদন করেছেন তারা এখনও টাকা পাননি। অর্থাৎ অবসরে যাওয়ার প্রায় তিন বছর পরও শিক্ষকরাও তাদের পাওনা বুঝে পাচ্ছেন না। সে সময় থেকে চলতি বছরের ২১ মার্চ পর্যন্ত নিষ্পত্তি করার জন্য আবেদন জমা পড়েছে ২৫ হাজার ৩০৯টি। যা পরিশোধে প্রয়োজন ২ হাজার ৭শ কোটি টাকা।

সূত্র মতে, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রতি মাসে ছয় শতাংশ হারে যে টাকা কর্তন করা হয় তা দিয়ে বছরে তহবিলে জমা হয় ৭২০ কোটি টাকা। ভাতা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় হাজার কোটি টাকা। যেখানে ঘাটতি থাকে ২৮০ কোটি টাকা। মুজিববর্ষে ১২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর পাওনা পরিশোধে দরকার হবে ১ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। মুজিববর্ষের বাকি আট মাসে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ছয় শতাংশ করে কর্তনের মাধ্যমে আদায় হবে ৪৮০ কোটি টাকা। ঘাটতি থাকবে ৮০৪ কোটি টাকা। আর মুজিববর্ষের বিশেষ কর্মসূচির আওতায় এ টাকা বিশেষ বরাদ্দ চায় অবসর সুবিধা বোর্ড। সেজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছেন বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী।

এ বিষয়ে শরীফ আহমদ বলেন, ‘সরকার মুজিববর্ষে সবাইকে কিছু না কিছু উপহার দিচ্ছে। আমরা চাই সারাজীবন আলোর দ্বীপ জ্বালানো এসব শিক্ষকদের জন্য কিছু উপহার নিয়ে আসতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষে ১২ হাজার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে উপহার হিসেবে চেক বিতরণ করতে চাই। এজন্য ৮০৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতনরা আমাকে উপহার দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।’