সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন

সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন কলেজটির কয়েকজন শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কলেজের মূল ফটকের সামনে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে তারা এই আন্দোলন শুরু করেন। এরপর থেকে সেখানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন, যার ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
- তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ।
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা।
- শতভাগ শিক্ষার্থীদের আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করা বা তাদের আবাসন খরচ বহন করা।
- ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আইন ও সাংবাদিকতা বিভাগ সংযোজন।
- যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডি শিক্ষক নিয়োগ।
- আসনসংখ্যা সীমিত করে শিক্ষার মান উন্নয়ন।
- গবেষণাগার নির্মাণের জন্য জমি ও অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদ ইসলাম অনিক বলেন, "আমাদের পাঁচজন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেছেন। আমরা চাই, তিতুমীর কলেজকে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হোক। আমাদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন চালিয়ে যাব।"
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আফিয়া অর্নি বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব শিক্ষার্থীর আবাসন নেই, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় খরচ বহন করছে। কিন্তু আমাদের জন্য কেন এই ব্যবস্থা থাকবে না? আমরা বৈষম্যের শিকার হতে চাই না, তাই এই আন্দোলনে নেমেছি।"
সরকারি তিতুমীর কলেজ দেশের অন্যতম বৃহৎ সরকারি কলেজ। শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়িত না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে বলে জানা গেছে।