আমতলীতে দুবৃর্ত্ত্বের দেয়া আগুনে জাল পুড়ে ছাই, নিঃস্ব জেলে পরিবার

আমতলীতে দুবৃর্ত্ত্বের দেয়া আগুনে জাল পুড়ে ছাই, নিঃস্ব জেলে পরিবার

বরগুনার আমতলী উপজেলার পশ্চিম ঘটখালী (বৈঠাকাটা) গ্রামের জেলে আব্বাস হাওলাদারের জালে দুবৃর্ত্ত্বদের দেওয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জীবন জীবিকার একমাত্র সম্বলটুকু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে ওই ভূক্তভোগী জেলে পরিবারটি।

জেলে আব্বাস হাওলাদার আমতলীর পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করে তার  সাত সদস্যের পরিবারের জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। এতে জেলে আব্বাস হাওলাদারের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার রাতে মাছ শিকার করে নদীর পাড়ে নৌকা বেঁধে রেখে বাড়ীতে চলে যান। আজ (সোমবার) সকালে এলাকার লোক জনের ডাক চিৎকারে নদীর পাড়ে গিয়ে দেখে নৌকায় আগুন জ্বলছে। শত চেষ্টা করেও বাঁচার অবলম্বনটুকু জাল নৌকা রক্ষা করতে পারেননি। 

ভূক্তভোগী জেলে আব্বাস হাওলাদার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি গরীব মানুষ বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে জাল কিনে মাছ ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাই। কারো সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই। তারপরের আগুন দিয়ে আমার জাল নৌকা পুড়ে ফেলেছে। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে আমি কি করবো, কি খাবো।

জেলে আব্বাস হাওলাদারের স্ত্রী পারভীন বেগম বলেন, সকালে আগুনে জাল নৌকা পুউড়্যা যাওয়া দেইখ্যা কোন উপায় না পাইয়া মৎস্য অফিসার স্যারের কাছে গেছিলাম। হে মোগো থানায় আবেদন করতে কইছে। মোগো এ্যাহন মরা ছাড়া উপায় নাই। মোগো সাত জনের সংসারে একমাত্র আয়ের পথ হইছে ইলিশ মাছের জাল দিয়ে মাছ ধরা। হেরপর ৪টি এনজিও থেকে নেয়া লোন মাছ ধরে পরিশোধ করি। এখন মৃত্যু ছাড়া মোগো আর কোন উপায় নাই। কেমনে লোন শোধ হরমু।

আমতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি জেনেছি। এখনো কোন লিখিত আবেদন পাইনি। আবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।