উত্তর প্রদেশে হিজাব নিয়ে বিতর্ক

ভারতের কর্ণাটকে স্কুলে শিক্ষার্থীদের হিজাব নিষিদ্ধ করা নিয়ে চলমান বিতর্ক দেশটির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে ছড়াচ্ছে। রাজ্যটিতে একদল তরুণ একটি কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে। মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে নতুন পোশাকবিধিতে শ্রেণিকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধ করার পর মুসলিম শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও হিন্দু শিক্ষার্থীদের পাল্টা বিক্ষোভের জের ধরে কর্ণাটকে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মুসলিমরা এই নিষেধাজ্ঞাকে প্রান্তিক করে তোলার চেষ্টা হিসেবে সমালোচনা করছেন। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের ১৩ শতাংশ জনগোষ্ঠী মুসলিম।
ভারতের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত উত্তর প্রদেশ, রাজধানী দিল্লির সঙ্গে রয়েছে রাজ্যটির সীমান্ত। সোমবার দুই ডজনের বেশি শিক্ষার্থীদের একটি দল আলিগড় জেলার ধর্ম সমাজ কলেছে স্মারকলিপি দিয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
কলেজের প্রধান প্রক্টর মুখেজ ভারাদ্বাজ জানান, এই শিক্ষার্থীদের গলায় ছিল গেরুয়া শাল, যা সাধারণত হিন্দুরা পরেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাদেরকে চিনতে পারেননি। কলেজের বর্তমান আইন অনুসারে, শ্রেণিকক্ষে কোনও ধর্মীয় পোশাক পরার অনুমতি নেই, কিন্তু ক্যাম্পাসে পরা যাবে।
মঙ্গলবার রয়টার্সকে ভারাদ্বাজ বলেন, দুই বছর আগে একই ইস্যু হাজির হয়েছিল। বিষয়টি বারবার উঠে আসছে। আমরা কোনও ধর্মীয় পোশাকের অনুমোদন দেই না। সবার জন্য সাধারণ পোশাকবিধি রয়েছে আমাদেও তিনি আরও বলেন, কলেজে মেয়েদের জন্য একটি পোশাক পাল্টানোর কক্ষ আছে। শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের আগে সেখানে তারা পোশাক পাল্টাতে পারে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
উত্তর প্রদেশের জনসংখ্যা প্রায় ব্রাজিলের সমান। রাজ্যটির ক্ষমতায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যটিতে একাধিক ধাপের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে হিন্দু-মুসলিম বিরোধকে প্রায়ই রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য কাজে লাগানো হয়।
হিজাব বিতর্ক কর্ণাটকের আদালতের পর্যালোচনাধীন রয়েছে। শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরার অনুমোদন দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে মঙ্গলবার শুনানি পুনরায় হওয়ার কথা রয়েছে।