এই ঠাণ্ডায় জ্বর হলে বা না হলেও যা খেতে হবে

এই ঠাণ্ডায় জ্বর হলে বা না হলেও যা খেতে হবে

ঠাণ্ডা-জ্বর হলে বা না হলেও খেতে হবে : শীত আসবে, আগেই জানিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতি। আর আমরা অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছি সিজনাল ফ্লুতে।

এদিয়ে মহামারি করোনাও পিছু ছাড়েনি আমাদের। এসময়ে ঠাণ্ডা-জ্বর হলে বা না হলেও ছোট-বড় সবাই সুস্থ থাকতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত কিছু খাবার খেতে হবে। যা খাবেন: 

দই: দই ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপুর্ণ উৎস। নিয়মিত খেলে শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ে। হজম শক্তির উন্নতি করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।  

কালিজিরা: মৃত্যুছাড়া সব রোগের ওষুধ বলা হয় কালিজিরাকে। স্থুলতা, ক্যান্সার ও হৃদরোগ সব কিছুর বিরুদ্ধেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে  অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কালিজিরা।  সাধারণ সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, জ্বর, যেকোনো ধরনের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেও কালিজিরার জুড়ি নেই।  
 
মধু: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট  সমৃদ্ধ মধুর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। দ্রুত ক্ষত সারাতে সাধারণ জ্বর সর্দি-কাশিতে মধু ওষুধের মতোই কাজ করে।  

আদা: মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ঠাণ্ডা লেগে কাশির চিকিৎসায় আদা ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা ক্যান্সারের মতো রোগও প্রতিরোধ করে।  

রসুন: আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় আদা-রসুন যেন চমৎকার জুটি। কোনো খাবারে আদা দেবেন আর রসুন দেবেন না, এটা কিন্তু খুব একটা দেখা যায় না। আদার মতোই রসুনেরও রয়েছে অনেক গুণ।  প্রতিদিন সকালে দুই কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে চোখ ভাল থাকবে, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। 
 
বুঝতেই পারছেন, প্রতিদিনের খাবার থেকে আমরা সুস্থ থাকার উপাদানগুলো পেতে পারি।