করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে

বরিশালে একদিনে সর্বোচ্চ ৭৩ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে ভয়াবহ অবস্থা হবে এমন আশঙ্কা চিকিৎসকদের। পরিস্থিতি ভয়বহ হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনাগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ৭দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না। কেবল লঞ্চ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছাড়া বাকি সবকিছু চলছে স্বাভাবিক সময়ের মতো। যা করোনা সংক্রমণ বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারকে কঠোর হতে হবে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে স্বেচ্ছায় ও স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

গত মঙ্গলবার ২৪ ঘন্টায় বরিশাল মেডকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ জনের নমূনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৩জন করোনা পজেটিভ হয়েছে। আকান্তের হার ৩৮ শমিক ৮২ ভাগ। যা করোনা আক্রান্তের দিক থেকে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক। এই পরিস্থিতি ভয়াবহ বলেছেন বরিশাল মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ডা. একেএম আকবর কবির।

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। এই পরিস্থিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতেই হবে। একই সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারের সঙ্গে সবার সহযোগী হয়ে কাজ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে লকডাউন দেওয়ার প্রয়োজন হলে সেটা কঠিনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে সেটা কেবল লঞ্চ আর বাস বন্ধ রেখে লকডাউন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। সাধারণ মানুষ অন্যান্য গণপরিবহণে গাদাগাদি করে চলাচল করছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। রাস্তাঘাট বাজারে মানুষের ভীড় কমানো যাচ্ছে না। এরকম লকডাউন থাকলে সারা বছর লকডাউন দিলেও কাজের কাজ কিছুই হবে না। এমন লকডাউনের পরিবর্তে নাগরিক সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে। বাধ্যতামূলক করতে হবে মাস্ক ব্যবহার। দোকানপাট, ব্যাংক-বীমা, লঞ্চ-বাসে যাতে স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে পালন করা হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।

আমরা যদি কেবল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবের প্রতিবেদন দেখি তাহলেই করোনার ভয়বহতা সম্পর্কে আচ করতে পারবো। পিসিআর ল্যাবে ২৪ ঘন্টায় ১৮৮জনের নমূনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা মোট পরীক্ষার ৩৮ দশমিক ৮২ ভাগ। বরিশাল মেডিকেল কলেজের আরটি সিপিআর ল্যাব চালু হওয়ার পর এটাই সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এই সর্বোচ্চ রেকর্ড নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের অবশ্য অবশ্যই সচেতন হতে হবে। সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে সেটা সামাল দেওয়া অসম্ভব হবে।