জার্মানি-বেলজিয়ামে ভয়াবহ বন্যায়

জার্মানি-বেলজিয়ামে ভয়াবহ বন্যায়

রেকর্ড বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় জার্মানি ও বেলজিয়ামে অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অসংখ্য মানুষ।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মৃতদের বেশির ভাগই জার্মানির নাগরিক। এদের মধ্যে কমপক্ষে ১১ জন বেলজিয়ামের। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডসের বন্যা পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক।

জার্মানির রাইনল্যান্ড-পালাটিনাটে এবং নর্থ রাইন-ভেস্টফালিয়া প্রদেশ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পশ্চিম ইউরোপের ওই অঞ্চলে শুক্রবারও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় নর্থ রাইন-ভেস্টফালিয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরমিন ল্যাশেট এই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার জন্য বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে দায়ী করেছেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়া ফিরে ফিরে আসার ঘটনা বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এও বলছেন, একটি একক ঘটনাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলাটা একটু জটিল।

এ দিকে স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, জার্মানির বাড নয়নার-আরভেইলার জেলায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ জনের খোঁজ মিলছে না।

সেখানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রশাসন ধারণা করছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপর্যয়ের কারণে এসব বাসিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রায় সাড়ে তিন হাজার নাগরিকের জন্য জরুরি আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে।

উদ্ধার কাজে যুক্ত রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও নিয়মিত উদ্ধারকর্মীরা।

জার্মানিতে এবারের বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২০০২ সালের বন্যায় ২১ জনের মৃত্যু হয়।

বন্যায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতিতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার ঘোষণাও তিনি দিয়েছেন।

এ দিকে ফেসড্রে নদী উপচে বন্যায় বেলজিয়ামের পূর্বাঞ্চলীয় শহর পেপিনস্টারে ১০টি ঘর ধসে পড়েছে। শহরের এক হাজার বাড়িঘর থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন নদীতে পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় দক্ষিণের লিমবার্গ প্রদেশে অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার বেশ কিছু বয়স্ক সেবাকেন্দ্র খালি করে ফেলা হয়েছে। দেশটির মাসট্রিখট শহরের ১০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।