পেলের ৮০তম জন্মদিন আজ

ফুটবল আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র তিনি। লিখেছেন অনেক ইতিহাস। দেখেছেন অনেক কিছু। সেই এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তোর ৮০ তম জন্মদিন আজ, যাকে সবাই চেনে পেলে নামে।
ব্রাজিলের জার্সিতে তিনবারের বিশ্বকাপ জেতা পেলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তবে উচ্ছলতায় ভাটা পড়েনি।
অশীতিপর হওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করার আগের দিন ট্রেডমার্ক হাসি হেসে ‘ফুটবলের রাজা’ বললেন, ভালো আছেন তিনি।
জন্মদিন উপলক্ষে ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে একটি ভিডিও কনভারসেশনে যুক্ত হয়ে মজা করে পেলে বলেন, “আমি ভালো আছি। কেবল খেলতে পারছি না আরকি।”
তিনবার (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০) বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র ফুটবলার পেলে প্রতি বছরই অনেকটা নীরবে জন্মদিন পালন করে থাকেন। এবারও তাই হচ্ছে।
তবে পেলের জন্মদিন ঘিরে আয়োজনের কমতি থাকে না ভক্ত কূলের মধ্যে। করোনাভাইরাস মহামারি সত্ত্বেও তা থেমে নেই। কিংবদন্তি এই ফুটবলারের সম্মানে বিশাল আয়োজনে একটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সাও পাওলো, যেখানে পেলে তার ক্লাব ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময়টাই কাটিয়েছেন।
এ ছাড়া পেলে নিজেও গ্র্যামি পুরস্কার জয়ী মেক্সিকান সঙ্গীত তারকা রদ্রিগো ও গাব্রিয়েলার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে একটি গান গেয়েছেন। যেটাকে জন্মদিন উপলক্ষে নিজের ও ভক্তদের জন্য ছোট্ট একটি উপহার হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এ ছাড়া বুধবার ইনস্টাগ্রামে গোল উদ্যাপনের একটি ছবি পোস্ট করে পেলে লিখেছেন- “ব্রাজিল ও ব্রাজিলিয়ানদের ধন্যবাদ। এই জার্সি পরে আমি সব সবময় গর্বিত ছিলাম। আমার জন্মদিন উপলক্ষে যারা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।”
১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েসে জন্ম নেওয়া পেলেকে দুই হাজার শতকের সেরা ফুটবলার হিসেবে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা। তার পাশে আছে আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ম্যারাডোনার নামও।
ফুটবলে সমৃদ্ধ এক ক্যারিয়ার পেলের। সত্তরের দশকে নিউ ইয়র্ক কসমসে পাড়ি জমানোর আগে ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় কাটান ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসে। দীর্ঘ ২১ বছরের ক্যারিয়ারে ১৩৬৩টি ম্যাচে গোল করেছেন ১২৮১টি! এর মধ্যে ব্রাজিলের হয়ে গোল ৯১ ম্যাচে ৭৭টি!
৮০ বছর বয়সেও ফুটবলই ধ্যান-জ্ঞান পেলের। এখনো ফুটবল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যথেষ্ট অ্যাকটিভ তিনি। ফুটবল নিয়ে একবার পেলে বলেছিলেন- “অনেকে আমায় জাদুকর ভেবে ভুল করে। কেন করে আমি জানি না। তবে এটা জানি, ফুটবলের জন্যই আমাকে চেনে সবাই। ফুটবল ছাড়া আমার অস্তিত্ব শূন্য।”
ভোরের আলো/ভিঅ/২৩/২০২০