বরিশালে মায়ের হত্যাকারীর শাস্তি দাবিতে সন্তান ও পরিবারের মানববন্ধন

বরিশালে মায়ের হত্যাকারীর শাস্তি দাবিতে সন্তান ও পরিবারের মানববন্ধন

বরিশালে মায়ের হত্যাকারীরর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে শিশু সন্তানসহ পরিবারের পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচি থেকে সন্তানরা মায়ের হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে।

গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর প্রাণকেন্দ্র অশি^নী কুমার হলের সামনে নিহত বিলকিস বেগমের ৭ বছর বয়সী শিশু পুত্রস পরিবারের সদস্যরা ওই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

বরিশাল নগরীর  ২৮ নং ওয়ার্ডের শেরে বাংলা সড়কের মা মঞ্জিলে বড় ভাইর স্ত্রী বিলকিস বেগমেকে শিশু সন্তানের সামনে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে চাচা আলম শরীফ।

মানববন্ধনে বিলকিস বেগমের শিশু পুত্র ইমন শরীফ বলেন, ‘আমার চোখের সামনে আমার মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারী আমার ছোট চাচা আলম শরীফের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে হত্যাকারী আলম শরীফ মামলার বাদি বিলকিস বেগমের পিতা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার (৭০)কে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রলোভনসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা তার  নাতীদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মামলার বাদী মফিজ উদ্দিন হাওলাদার, ইমনের নানী শাহিনুর বেগম, মামা মো. সিব্বির আহমেদ, মো. বসির আহমেদ, মো. নাসির উদ্দিন সহ স্থানীয় এলাকাবাশী।

উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ১৪ই ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বিলকিস বেগমের ছোট দেবর আলম শরীফ বিলকিস বেগমের ব্যাংকের চেক চুরি করে সেখানে ১লক্ষ টাকা বসিয়ে স্বাক্ষর করতে বলেন। চেকের পাতায় স্বাক্ষর না করায় এক প্রর্যায়ে বিলকিস বেগমকে ইমন (৭) এর সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত, কান কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। ছলে ইমনের চিৎকারে এলাকাবাশীরা এগিয়ে এসে প্রথমে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভতি করে। ঢাকা মেডিকেলে ৫১দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় বিলকিসের পিতা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার বাদি হয়ে বিমানববন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামী আলম শরীফ দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গত ১৮ জানুয়ারি ভোররাতে বরিশাল নৌবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।