বরিশালের ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ঢল

বরিশালের ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে। ঈদের ১৫ দিন বাকী থাকতেই নগরীর সদর রোড, চকবাজার, কঠপট্টি এবং বাজার রোড সহ বিভিন্ন এলাকার পোষাক বিতানগুলোতে ক্রেতার চাপ বেড়েছে। দিনে এবং রাতে সমানতালে চলছে পোষাক বেঁচাকেনা। একই চিত্র নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের নির্ভরযোগ্য মার্কেটেও।
এবারের ঈদ বাজারে তরুনী সহ নারীদের প্রধান আকর্ষন ‘কাঁচা বাদাম’ নামের থ্রি পিস। লাল, নীল ও সবুজ সহ ৬ রঙ্গের থ্রি পিস রয়েছে কাঁচা বাদামের। কাপড়ের ধরন বুঝে আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে হাল আমলের ক্রেজ কাঁচা বাদাম থ্রি পিস।
বিক্রেতারা বলেন, ‘কাঁচা বাদাম’ নামে একটি গান সম্প্রতি ইউটিউবে ভাইরাল হয়। এ গানের মডেলের পড়নে যে ড্রেস ছিলো সেই আদলেই করা হয়েছে ‘কাঁচা বাদাম’ থ্রি-পিস।
স্বদেশী বস্ত্রালয়ের তনয় সাহা বলেন, এবারের ঈদ বাজারে ‘কাঁচা বাদাম’ থ্রি-পিসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্রেতারা নতুন পোশাক খোঁজেন। কাঁচা বাদাম নতুন পোষাক হওয়ায় এটির বিক্রিও বেশ ভালো।
এছাড়াও অরগাঞ্জা এবং গোল্ড ড্রেস থ্রি পিসের চাহিদাও রয়েছে। ৪ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে এই থ্রি-পিস।
এবারের ঈদ বাজারে মধ্য বয়সী নারীদের প্রথম পছন্দ রং-বেরংয়ের শাড়ি। চক বাজারের দোকানগুলোতে বরাবরের মতো ঢাকাইয়া জামদানী, কাতান, টাঙ্গাইলের সিল্ক শাড়ি এবং তাঁতের শাড়ি নারীদের চাহিদার শীর্ষে। তাঁতের শাড়ির মূল্য কিছুটা কম হলেও অন্যগুলো ডিজাইনের কারনে বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকায়।
এছাড়া শিশুদের জন্য অভিজাত দোকানগুলোতে রয়েছে দেশী-দেশের রং ও ডিজাইনের পোষাক। ৮শ’ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে শিশুদের আকর্ষনীয় পোষাক পাওয়া যাচ্ছে এবারের ঈদ বাজারে।
অভিভাবকরা বলেন, আগের চেয়ে শিশুদের পোষাকের দাম বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় কাপড়ের মান বাড়েনি।
ঈদের ১৫ বাকী থাকতেই ঈদ বাজারে ক্রেতার ¯্রােতের বিষয়ে চক বাজারে শপিং করতে আসা গৃহবধূ মরিয়ম আক্তার বলেন, শেষ দিকে অনেক ভীর হয়। দামও অস্বাভবিক বেড়ে যায়। এ কারনে সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে আগেভাগে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করছেন তিনি। তার মতো অনেকেই নিঃঝঞ্ঝাট কেনাকাটার জন্য মধবর্তী সময় বেঁছে নিয়েছেন। এছাড়া ছেলেদের জন্য নানা নাম, ডিজাইন ও রংয়ের পাঞ্জাবী রয়েছে বাজারে।
এদিকে ঈদ বাজারে ইভটিজার ঠেকানো এবং নিরাপত্তার জন্য পোষাকে এবং সাদা পোষাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নগরীর চকবাজার-কাঠপট্টি-পদ্মাবতী-লাইনরোড ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম বলেন, 'ঈদ বাজারে ক্রেতাদের ভীড় সামালাতে শুক্রবার বন্ধের দিনেও চকবাজার এবং পদ্মাবতীর দোকানপাঠ খোলা রাখা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
ঈদ বাজারের নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিন) আলী আশরাফ ভূঁঞা।