মুক্তিপন না পেয়ে ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

মুক্তিপন না পেয়ে ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রমজানকাঠী সংলগ্ন সন্ধ্যা নদী থেকে নয়ন হাওলাদার (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রতিবেশী আশিক হাওলাদারকে (১৬) পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নয়ন হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত আশিক হাওলাদারও একই এলাকার ওসমান হাওলাদারের ছেলে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থী নয়ন হাওলাদারের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। বাবুগঞ্জ থানার ওসি দিবাকর চন্দ্র দাস বলেছেন, নিহত শিক্ষার্থীর মাথায়, গলায়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। এব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত নয়ন উজিরপুর উপজেলার বামরাইল এবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র এবং একই উপজেলার ভরসাকাঠী এলাকার সোবাহান হাওলাদারের ছেলে। তার বাবা এবং মা দুই জনেই চট্টগ্রামে গার্মেন্টে চাকুরী করেন। উজিরপুরের বাসিন্দা এমদাদুল কাশেম সেন্টুর বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, গত শনিবার বিকেলে নয়ন তার দাদা ও বোনের সঙ্গে গত শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশের কৃষি জমিতে শাক তুলছিলো। এ সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তার বাবা সাবাহান হাওলাদারের মুঠোফোনে কল দিয়ে নয়নের মুক্তির জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা। সোবাহান হাওলাদার স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের এই তথ্য জানিয়েছেন। মুক্তিপন না পেয়ে রাতের যে কোন সময় দুর্বৃত্তরা রমজানকাঠীর একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে নয়নকে কুপিয়ে এবং গলাকেটে হত্যা করে। পরে একটি বস্তায় ইট ঢুকিয়ে নয়নকে বস্তার মধ্যে ভরে পাট ক্ষেত সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে ফেলে দেয় তারা। বস্তার মধ্যে নয়নের লাশ ফুলে উঠলে স্থানীয়রা ওই বস্তাটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মুক্তিপন না পেয়েই স্কুল ছাত্র নয়নকে হত্যা করেছে কিশোর দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে আশিক হাওলাদার নামে এক প্রতিবেশী কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।