রমজানে শরীরচর্চা

আমাদের সবারই নজর দেয়া বেশি জরুরি রমজানে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে। আপনি যদি হঠাৎ শরীরচর্চা বন্ধ করে দেন তাহলে অস্বস্তি লাগা স্বাভাবিক। তবে রমজানে সারাদিন রোজা রেখে ঘাম ঝরানোটাও বেশ কষ্টের ব্যাপার। তবে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগীদের এসময় বেশি বেশি নিয়ম–কানুন মেনে চলা উচিত। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে, তারাই বোঝে শরীরচর্চা গুরুত্ব কতটুকু।
তাহলে জেনে নেই রমজানে কিভাবে হবে শরীরচর্চা:
আমরা অনেকেই ভাবি রোযা রেখে কখন করবো শরীরচর্চা। সকালে নাকি বিকেলে? তবে অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোযা রেখে সকালে শরীরচর্চা করাই স্বাস্থ্যসম্মত। এক্ষেত্রে, সেহরি শেষে খানিক বিশ্রাম নিয়েই করা যেতে পারে শরীরচর্চা।
নিয়মিত হাঁটেন যারা
যাদের নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস, তারা সকালের দিকেই কিছুক্ষণ হাঁটতে পারেন। রোজা রেখে বিকেলে না হাঁটাই ভালো, তবে ইফতারের একঘণ্টা পরও হাঁটতে পারেন। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীরা বিকেলে হাঁটবেন না। কারণ, এ সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। যারা কঠোর পরিশ্রম করে তারা অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শরীরচর্চা করতে পারে না। তারা হাঁটতে পারেন নিয়মিত। কালে রোদ তপ্ত হওয়ার আগেই হাঁটেত চেষ্টা করুন। যারা শরীরচর্চা করে ব্যায়ামাগারে গিয়ে তারা সকালের সময়টা বেছে নিতে পারেন। তবে রোযা রেখে করতে হবে হালকা শরীরচর্চা। আবার কঠোরভাবে করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
ব্যায়াম করেন যারা
হালকা ব্যায়াম করাই উচিত রমজানের সময়। খুব বেশি ঘাম ঝরবে যে ব্যায়ামগুলো করলে, সেগুলো এ সময় না করাই ভালো। খুব বেশি সময় ধরে ব্যায়াম করলে পানি পিপাসা লাগবে ফলে সারাদিন রোজা রাখতে কষ্ট হবে। তাই ব্যায়াম করুন ঠান্ডা জায়গায়। ইফতারি করার কমপক্ষে ১ ঘন্টা বা তার থেকে বেশি সময় পর ব্যায়াম করুন এবং অনেকে ইফতারির পর পর জিমে ব্যায়াম করতে আগ্রহী। ইফতারির কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর ব্যায়াম করা যাবে তবে সামান্য ইফতারি করে তারপর কিছু সময় পর ব্যায়াম করুন। এছাড়া বেশি ইফতারি (পেট ভরে) না করেও আপনি ব্যায়াম করতে জিমে আসতে পারেন। আমার মতে আপনাকে অবশ্যই ইফতারির কিছু সময় রেস্ট নিয়ে ব্যায়াম করা বেশি ভালো কারণ সারাদিন রোজা রাখার পর আপনার শরীর ক্লান্ত, এছাড়া আপনি ইফতার করার পর পর কখনও জিমে এসে ব্যায়াম করতে মনে চাইবে না। নজর দিন খাদ্যতালিকায়
রোজার সময় ব্যায়াম করার সাথে সাথে রোজদারদের খাবারের প্রতি বিশেষ যত্নবান হতে হবে। খাদ্যতালিকা রাখতে হবে শর্করাজাতীয় খাবার । ইফতার, রাতের খাবার এবং শেষরাতের খাবারে অবশ্যই শর্করাজাতীয় খাবার খেতে হবে। এমন ধরনের খাবার খেতে হবে, যা থেকে দ্রুত ক্যালরি পাওয়া যায়। তবে ক্যালোরির মাত্রা অবশ্যই বয়স, উচ্চতা ও ব্যায়ামের মাত্রা অনুসারে নির্ধারণ করতে হবে। রাতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং চাইলে ইফতারের পানীয়তে একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।