সরকারি পুকুর দখলমুক্ত করায় হামলার শিকার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

সরকারি পুকুর দখলমুক্ত করায় হামলার শিকার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী


সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মাহবুব আহমেদ ও তার পরিবার।

শুক্রবার রাত ৯টায় নিজ গ্রাম বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বড়ইতলা গ্রামে বৃদ্ধা দাদাসহ হামলার শিকার হন ওই শিক্ষার্থী। 

জানা যায়, বড়ইতলায় চাপরাশি বাড়ি খাসপুকুর নামে পরিচিত সরকারি পুকুর দীর্ঘদিন যাবৎ দখল করে নিজেদের দাবি করে আসছিল স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী  নেতা হাসিবুর রহমান। স্থানীয় তরুণদের নিয়ে পাথারঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) হুমায়ুন কবিরের সহযোগীতায় খাসপুকুরটি দখলমুক্ত করারর উদ্যোগ নেয় শিক্ষার্থী মাহবুব আহমেদ। 

পরে বরগুনা জেলা প্রশাসক "পুকুর এবং পুকুর পাড়ের জমির মালিক বাংলাদেশ সরকার" মর্মে  দুটি সাইনবোর্ড টানিয়ে সবার জন্য জন্য উন্মুক্ত করেন পুকুরটি।

শিক্ষার্থী মাহবুব আহমেদ বলেন, "শুক্রবার রাত ৯টার দিকে আমি আর আমার দাদা বাজার থেকে বাসায়  এসে পুকুর ঘাটে যাই। এরমধ্যেই হাসিবুর রহমান এসে বলে এখানে বসবি না। আর আমাকে বিভিন্ন অশ্রাব্য ভাষায়  গালি দিয়ে সে আমার চোখের দিকে একটা লাইট ধরে বসে, কানার বাচ্চা, খয়রাতির বাচ্চা বলে গালাগাল শুরু করে, খয়রাতির ঘরে  বেড়া নাই আসছে পুকুর মুক্ত করতে বলেই আমার দিকে তেড়ে এসে আমাকে ধাক্কা দেয় এর মধ্যে হাসিবের বাবাও তাদের বাড়ি থেকে ছুটে এসে কুত্তার বাচ্চা আর জঘন্য গালিগালাজ করে।
আমার ওপর আক্রমণ করতে এলে এক পর্যায়ে ৯৫ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ দাদা ছুটে আসলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। 
হাসিব বাসায় গিয়ে  ধারালো ছুরি নিয়ে আমাকে মারতে আসলে  চিৎকার শুনে এলাকার মানুষ জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। আমার কারণে জবরদখল করা সরকারি পুকুর তাদের হাত ছাড়া হয়ে গেছে। কেন আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পুকুর জবরদখল মুক্ত করতে গেলাম। এলাকার গরীব মানুষদের হয়রানি করার প্রতিবাদ করা আমার অপরাধ।  তাদের সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাদের চক্ষুশূলে পরিনত হই। আমাকে এখন সবসময় বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখায়। আমাদের পরিবারসহ এলাকা ছাড়া করবে। এসব কথা বলে ভয় দেখায় প্রতিনিয়ত।"

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে অভিযুক্ত হাসিবুর রহমানের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।