স্ট্রাকচারের কাজ শেষ পদ্মাসেতুর: কাদের

পদ্মাসেতুর স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার সিলেট জোনের বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) পদ্মাসেতুর মাওয়া প্রান্তে ভায়াডাক্টের সর্বশেষ গার্ডার স্থাপনের মধ্য দিয়ে পুরো সেতুর স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৩ দশমিক দুই পাঁচ ভাগ। এছাড়া নদী শাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৫.৫ ভাগ। আগামী ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মাসেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’
জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকে বোঝা বড়ই মুশকিল। কখন কি রূপ ধারণ করে কিছুই বুঝা যায় না। তাই স্বাস্থ্যবিধি ও শতভাগ মাস্ক পরার কোন বিকল্প নেই। আমাদেরকে আরও মনোযোগী হতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করায়।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে আজকে খারাপ অবস্থা। একটি বেড ও অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মানুষ মারা যাচ্ছে। তাদের শ্মশান ও কবরস্থান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমাদের এখন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।’
করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভ্যাকসিনের জন্য উদ্বেগের কোন কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন মানবিক নেত্রী যখন পাশে আছে, তখন এই দুঃসময় একদিন কেটে যাবে।’
ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক প্রকল্প প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই মূহুর্তে অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প হচ্ছে এটি, তাই সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন এই প্রকল্পের কাজ ঝুলে থাকলেও সম্প্রতি গতি পেয়েছে এবং ইতিমধ্যেই নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগের লক্ষ্যে এডিবির সম্মতিও পাওয়া গেছে। এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করতে সংশ্লিষ্টদের আরও উদ্যোগী হতে হবে।’