স্রোতের কারণে পদ্মায় বসেনি স্প্যান

চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মা সেতুর অবশিষ্ট ১০টি স্প্যান বসানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। চলতি বছরের জুনে সেতুর ৩১তম স্প্যান বসানো হয়। এরপর মহামারি করোনা ও বন্যার কারণে প্রায় চার মাস আর কোনও স্প্যান বসানো সম্ভব হয়নি।
তবে আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুতে ৩২তম স্প্যান বসানোর কথা ছিলো। কিন্তু পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা ও তীব্র স্রোতের কারণে এটিও বসানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ স্প্যানবাহী ক্রেন পিয়ারের কাছে নোঙর করতে পারেনি এ কারণে ৩২তম স্প্যানটি বসানো যায়নি। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামীকাল রোববার স্প্যানটি বসানো হতে পারে।
এ ব্যাপারে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পূর্বপ্রস্তুতি অনুযায়ী সকালে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি ভাসমান ক্রেনে তোলার কাজ শুরু হয়। তবে নদীতে স্রোত ও টেকনিক্যাল সমস্যা তৈরি হওয়ায় কিছুটা সময় লাগে। পরে বেলা ১টা ৩০ মিনিটে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি নিয়ে রওনা হয়ে স্প্যানবাহী ক্রেন পিয়ারের কাছে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে আবারও স্রোতের কবলে পড়ে।’
নির্বাহী প্রকৌশলী আরো বলেন, ‘বিকেল পর্যন্ত চেষ্টা করেও বসানো যায়নি স্প্যানটি। আপাতত স্প্যানবাহী ক্রেনটি নদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে। রোববার পুনরায় বসানোর কাজ হবে।’
সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫নং পিয়ারে বসানো হবে ৩২তম স্প্যান ‘ওয়ান-ডি’। এতে দৃশ্যমান হবে সেতুর চার হাজার ৮০০ মিটার।
এর আগে চলতি বছরের ১০ জুন পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ বসানো হয়েছিল ৩১তম স্প্যান। করোনা আর বন্যা পরিস্থিতির কবলে সেতুর অন্যান্য কাজ চললেও এরপর আর কোনো স্প্যান বসানো হয়নি।
সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আরো তিনটি স্প্যান ‘ওয়ান-এ’, ‘ওয়ান-বি’, ‘ওয়ান-সি’ পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। পরবর্তী চারটি স্প্যান পিয়ার ১-২, ২-৩, ৩-৪ নম্বর পিয়ারে বসানো হবে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ১০টি স্প্যান পিয়ারের ওপর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।