হাসপাতল চত্বরের অবৈধ দোকান উচ্ছেদে গিয়ে আহত হাসপাতাল স্টাফ

হাসপাতল চত্বরের অবৈধ দোকান উচ্ছেদে গিয়ে আহত হাসপাতাল স্টাফ

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে থাকা ভ্রাম্যমান অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়ে হাসপাতালের এক ওয়ার্ড মাস্টারকে খুনতি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার মো. ইউনুস খান নামের ওই স্টাফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিচার দাবি করে হাসপাতাল পরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন মো. ইউনুস নামের। পাশাপাশি এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বরে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রোববার সকালে হাসপাতালের সামনে প্রধান ফটকে এই ঘটনা ঘটে।

আহত এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরেই হাসপাতালের সামনে সড়ক এবং ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করে আসছে কিছু বহিরাগত। এর ফলে হাসপাতালে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনদের যাতায়াতের বিঘ্ন সৃষ্টির পাশাপাশি বিড়াম্বনার ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। আবার সেখানকার জটলা ঘিরে দালাল চক্র, ছিনতাইকারী, উত্ত্যক্তকারীরা সরব থাকছে। বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল চত্ত্বর এবং প্রধান ফটক দখলমুক্ত রাখতে দায়িত্বরত ওয়ার্ড মাস্টার ও কর্মচারীদের নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী গতকাল রোববার সকালে হাসপাতালের প্রধান ফটক দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা এবং ভ্রাম্যমান হকারদের উচ্ছেদের জন্য বের হন ওয়ার্ড মাস্টারের দায়িত্বে থাকা মো. ইউনুস খান ও কয়েকজন কর্মচারী। এসময় সেখানে অবৈধভাবে থাকা চা-পরোটার দোকান সরিয়ে নিতে বললে প্রিতম নামে এক দোকানী উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। এর প্রতিবাদ জানালে হাসপাতাল স্টাফ মো. ইউনুস খানকে পরোটা ভাজার খুনতি দিয়ে আঘাত করে প্রিতম। এতে তার হাতের একাংশে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে অন্যান্য স্টাফরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করেন।

আরো পড়ুন- শেবাচিমে নিয়োগে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ'র চিঠি

এদিকে ঘটনার পরপরই প্রিতম ঘটনাস্থল থেকে সটকে পরে, জানাগেছে সে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণি কোয়ার্টারেরও অবৈধ বাসিন্দা।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।