“আমার ভাই কবরে, খুনী ডাক্তারেররা বাহিরে কেন”

পটুয়াখালীতে ডাক্তারদের অবহেলায় ও ভুল চিকিৎসায় সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র অভি’র (১৪) মৃত্যু ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সহপার্ঠিরা।
২৮ আগস্ট সকাল ১১টায় পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্ররাসহ বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শির্ক্ষাথী বিদ্রঅলয় প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা আমার ভাই কবরে, খুনী ডাক্তারেররা বাহিরে কেন, খুনীদের বিচার চাই প্রভৃতি শ্লোগান দেয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে পুনরায় মিছিল সহকারে বিদ্যালয়ে গিয়ে মিছিল শেষ হয়।
এ সময় সহপার্ঠী শিক্ষার্থীরাসহ নিহত শিক্ষার্থী আরদিন খান অভি’র বাবা আনোয়ার হোসেন খান, মামা ইমাম হোসেন বিশ্বাস, মহিউদ্দিন বিশ্বাস, চাচা মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান, নানী হাসিনা বেগম, খালা রেশমা বেগম, চাচা জলিল খানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারাও অভির অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী অভিযোগ করে ডাক্তার আনোয়া উল্লাহ ও ডাক্তার শামীম আল আজাদের বিচার দাবী করেন।
স্বজনরা জানায় অভি সোমবার সন্ধ্যা ৭.২০মিনিটে অসুস্থ হয়ে পরলে ৭.৫০ মিনিটে অচেতন অবস্থায় অভিকে ২৫০ শয্যা বিশিস্ট হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আনোয়ার উল্লাহ গুরুত্ব না দিয়ে বিলম্বে এসে বিষ পান করেছে বলে একটি ভুল ব্যবস্থাপত্র দিয়ে পেয়িং ওয়ার্ডে প্রেরন করেন। সেখানে কর্তব্যরত নার্স তাকিয়া বেগমের কাছে স্বজনরা বলেন অভি বিষ পান করে নাই, তাকে পেয়িং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম আল আজাদকে ডাকেন। নার্স শামীশ আল আজাদকে ফোন করলে শামীম আল আজাদ অভির চিকিৎসাপত্র নিয়ে তার ব্যক্তিগত চেম্বারে নিয়ে যেতে বলেন। শামীম আল আজাদ ওয়ার্ডে না এসে সরাসরি না দেখে ডাঃ আনোয়ারুল্লাহ এর দেয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী নার্সকে পরামর্শ দেন। কিছুক্ষন পরে অন্য এক ডাক্তার এসে অভি মৃত ঘোষনা করে। ডাক্তারদের অবহেলার কারনে অভির মৃত্যু হয়েছে খবর পেয়ে সহপার্ঠি শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে গিয়ে ভাংচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অভি পটুয়াখালী শহরের কাঠপট্টি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অভিকে রাত ৭টা ৫০মিনিটে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। তখন অভির মুখ থেকে লালা বের হচ্ছিল। এ অবস্থায় এই রোগীর যা করনীয় ওয়াশ তা করা যায় না। তাকে জরুরী ভিত্তিতে বরিশাল নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আধা ঘন্টার মধ্যে ৮টা ২০মিনিটে তার মৃত্যু ঘটে। এক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসায় চিকিৎসকের কোন ধরনের গাফেলতি হয়নি। পটুয়াখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় আমরা এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। তবে এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।