বরিশাল শেবাচিমে বিদ্যুত বিভ্রাটে দুর্ভোগে রোগী-স্বজন ও চিকিৎসকরা

চরম বিদ্যুত বিভ্রাটে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপাকে পড়েন হাসপাতালের আন্ত ও বর্হিবিভাগের রোগীরা। রেডিওলজি এবং প্যাথলজি বিভাগেও বন্ধ হয়ে যায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রমও ব্যহত হয়ে পড়ে।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপাকে পড়েন হাসপাতালের আন্ত ও বর্হিবিভাগের রোগীরা। বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে না পেরে বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে জেনারেটর চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টায় শেবাচিম হাসপাতালের বর্হিবিভাগে অসুস্থ্য এক স্বজন নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যান মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বর্হিবিভাগে চিকিৎসকরা রোগী দেখা বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েন তিনি। একই চিত্র দেখা যায় হাসপাতালের আন্ত বিভাগেও।
গাইনী ওয়ার্ডের এক রোগীর স্বজন জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো হাসপাতালে পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন তারা। প্যাথলজি এবং রেডিওলজি বিভাগেও পরীক্ষা-নিরিক্ষা ব্যহত হয়। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে।
হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা জানান, গতকাল সকালে অফিসে যাওয়ার পর থেকে বিদ্যুতের আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন তারা। বিদ্যুত না থাকায় অফিসের স্বাভাকি কাজকর্ম অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যায়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, বিদ্যুত কেবল যায় আর আসে। এতে রোগীর অপারেশন কার্যক্রমও ব্যাঘাত ঘটে। পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে প্রায়ই এভাবে বিদ্যুত বিভ্রাট হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বরিশাল বিদ্যুৎ বিভাগের বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন জানান, গতকাল শনিবার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে পাখি পড়ে বিদ্যুতের ক্যাবল ছিড়ে যাওয়ায় সরবরাহ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। একটু বিদ্যুৎ গেলেই সবাই হাউকাউ করে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে স্বাস্থ্যসেবাসহ অপারেশন কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন ‘পরিচালককে বলেন, জেনারেটর চালিয়ে অপারেশন করতে।’